Advertisement
E-Paper

নম্বর বাড়লেও ‘র্যাঙ্কে’ পিছোল বিশ্ববিদ্যালয়

নম্বর বেড়েছে, প্রথম একশোর মধ্যেও রয়েছে। তবু তিন ধাপ পিছিয়ে গেল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের মূল্যায়ণে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে ৯২ নম্বরে। এ রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে তার আগে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (৫), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (৭), বিশ্বভারতী (৫০) ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় (৮৯)।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২০ ০৪:২৮
ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

নম্বর বেড়েছে, প্রথম একশোর মধ্যেও রয়েছে। তবু তিন ধাপ পিছিয়ে গেল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের মূল্যায়ণে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে ৯২ নম্বরে। এ রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে তার আগে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (৫), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (৭), বিশ্বভারতী (৫০) ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় (৮৯)।
২০১৮ সালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ৯৬ নম্বরে। দশ ধাপ এগিয়ে ছিল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯ সালে প্রথম ৯০-এ ঢুকে পড়ে বর্ধমান। বৃহস্পতিবার মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক’ (এনআইআরএফ) প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ৪০.৫৫ নম্বর পেয়েছে, যা গত বারের চেয়ে বেশি। কিন্তু গত বারের চেয়ে তিন ধাপ নেমে ‘র্যাঙ্ক’ হয়েছে ৯২। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় ৯১ থেকে উঠে এসেছে ৮৯ নম্বরে।
‘র্যাঙ্ক’-এ পিছিয়ে যাওয়ার কারণ কী? বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রের দাবি, শৃঙ্খলা, পরীক্ষার ফল-সহ বিভিন্ন বিষয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। পরীক্ষার ফলের সব তথ্য যথা সময়ে ‘আপলোড’ করতে না পারাও অন্যতম কারণ হয়ে থাকতে পারে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। বরং তাঁরা মনে করছেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর ২০ শতাংশ বেশি বিশ্ববিদ্যালয় এই ‘র্যাঙ্কিং’ পদ্ধতিতে যোগ দিয়েছে। সেখানে গত বছরের (৩৮.৯৮) চেয়ে নম্বর বেশি পাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক অনিন্দ্য বসুর দাবি, ‘‘আরও ভাল হলে নিশ্চয় ভাল হত। কিন্তু এত বড় বিশ্ববিদ্যালয় বেশি নম্বর পাওয়ার পরেও দু’-এক ধাপ নেমে যাওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়।’’ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, সারা বছর ধরে ‘টিম ওয়ার্ক’ থাকার জন্য নম্বর বেড়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় ‘র্যাঙ্কিং’-এর উপরেই সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অনুদান দিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে গত বছরের চেয়ে অনুদান কমতে পারে। কয়েক মাস আগেই প্রকাশিত ‘কিউএস’ র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম একশোয় ছিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। আর একটি বেসরকারি সমীক্ষা সংস্থা ‘নেচার ইন্ডিয়া’ চার দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির যে ‘র্যাঙ্ক’ প্রকাশ করেছে, সেখানে বর্ধমান রয়েছে ৪৩ নম্বরে। পদার্থবিদ্যা বিভাগে প্রথম ২৫-এ রয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অভিজিৎ মজুমদার বলেন, ‘‘৬২টি স্নাতকস্তরের কলেজ, ১৫৪টি বিএড কলেজ, দূরশিক্ষা বিভাগ নিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়। এত বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গা থেকে ঠিক সময়ে তথ্য সংগ্রহ করে ‘আপলোড’ করা খুব কঠিন কাজ। তথ্য সংগ্রহে কোনও ঘাটতি ছিল কি না, তা দেখতে হবে।’’ অনিন্দ্যবাবুরা জানান, ‘তথ্যে’ ঘাটতি থাকার কথা নয়। তবে কোথায় ‘ফাঁক’ রয়েছে, তা আলোচনা করে দেখা হবে।

bu burdwan university rank cu
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy