Advertisement
E-Paper

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মায়ের হাতে শংসাপত্র

শুধু শংসাপত্রই নয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ছুটির সময়ে মায়েদের দেওয়া হচ্ছে একটি প্যাকেট। সেখানে থাকছে, সন্তানের জন্ম-শংসাপত্র, স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ছাড়া পাওয়ার শংসাপত্র, মা ও বাচ্চার জন্য কী কী সতর্কতা নেওয়া দরকার তার তালিকা, মায়ের জন্য ক্যালসিয়াম ও আয়রন ট্যাবলেট, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও সদ্যোজাতের জন্য ‘ডায়াপার’।

সুব্রত সীট

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৮ ০৫:২৪
লাউদোহা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। নিজস্ব চিত্র

লাউদোহা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। নিজস্ব চিত্র

সন্তানের জন্ম-শংসাপত্র পেতে বার বার ছুটতে হয় পঞ্চায়েত বা পুরসভায়। বহু তদ্বির ও একরাশ ভোগান্তির পরে তা হাতে আসে, এমনই অভিজ্ঞতা হয় বাবা-মায়েদের। সেই ভোগান্তি মেটাতে এ বার স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মা ও সন্তানকে ছুটি দেওয়ার সময়েই দিয়ে দেওয়া হচ্ছে জন্মের শংসাপত্র। বৃহস্পতিবার এই পরিষেবা শুরু করল লাউদোহা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ধাপে ধাপে জেলার অন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকেও এই পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার পরিষেবা শুরুর দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস হালদার, বিডিও (দুর্গাপুর-ফরিদপুর) শুভ সিংহরায়, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অভিষেক রায় প্রমুখ। শুধু শংসাপত্রই নয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ছুটির সময়ে মায়েদের দেওয়া হচ্ছে একটি প্যাকেট। সেখানে থাকছে, সন্তানের জন্ম-শংসাপত্র, স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ছাড়া পাওয়ার শংসাপত্র, মা ও বাচ্চার জন্য কী কী সতর্কতা নেওয়া দরকার তার তালিকা, মায়ের জন্য ক্যালসিয়াম ও আয়রন ট্যাবলেট, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও সদ্যোজাতের জন্য ‘ডায়াপার’। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘জেলায় প্রথম লাউদোহা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই পরিষেবা শুরু হয়েছে। জেলার বাকি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেও এই প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে চালু করা হবে।’’

কিন্তু এমন পরিকল্পনা কেন? জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, প্রথমত, শংসাপত্র পাওয়ার জন্য ছোটাছুটি বন্ধ করা এবং দ্বিতীয়ত, মায়ের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, এই দু’টি কারণেই এমন পরিকল্পনা।

সাধারণ ভাবে শংসাপত্র পেতে গেলে গ্রামীণ এলাকায় ছুটতে হয় পঞ্চায়েত অফিস বা অন্য জায়গায় যেতে হয় পুরসভায়। সেখানে আবেদন নথিভুক্ত করে অপেক্ষায় থাকতে হয়। কিন্তু দুর্গাপুর, আসানসোল-সহ জেলার নানা প্রান্তের বাসিন্দাদের অভিজ্ঞতা, এই আবেদনের পরে অন্তত তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয় শংসাপত্র। এর সঙ্গে বার বার তদ্বির করা সংশ্লিষ্ট দফতরে, এ-ও রয়েছে। এ রকম হয়রানি দীর্ঘ দিন ধরেই নজরে পড়ার পরেই জেলা প্রশাসন ঠিক করে, জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই শংসাপত্র তৈরি করা হবে।

চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতা, সন্তানের জন্মের পরেও অনেক সময়ে মায়ের রক্তক্ষরণ ঘটে। তার জন্য ন্যাপকিন থাকছে প্যাকেটে। তা ছাড়া শরীর দুর্বল থাকায় মায়েদের পক্ষে জন্ম দেওয়ার শুরুর কয়েক মাস স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে ওষুধ সংগ্রহ করাও সম্ভব হয় না। ফলে বিপত্তি বাড়ে। এই সমস্যা সমাধানে প্যাকেটে থাকছে দেড় মাসের মতো ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট। ব্যাগের গায়ে মা ও শিশুর জন্য সতর্কীকরণ বার্তা লেখা থাকছে। যা শুধু সেই পরিবারই নয়, পথচলতি মানুষও দেখতে পাবেন।

দেবাশিসবাবুর কথায়, ‘‘সরকারি নিয়মেই প্রসূতিদের ওষুধপত্র দেওয়া হয়। সব কিছুই আমরা এক প্যাকেটে ভরে দিচ্ছি। আশা করি, এর ফলে উপকৃত হবেন মায়েরা।’’ প্যাকেটের সঙ্গেই ‘সবুজশ্রী’ প্রকল্পে একটি করে মেহগিনি গাছের চারাও তুলে দেওয়া হচ্ছে সদ্যোজাতের পরিবারের হাতে।

Health Center Mother
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy