সকাল থেকেই বিয়ের তোড়জোড় চলছিল পুরোদমে। কয়েক ঘণ্টা বাদেই বর নিয়ে হাজির হওয়ার কথা বরযাত্রীর। তার মাঝেই এসে পড়লেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। রুখে দিলেন নাবালিকা কন্যার বিয়ে।
বৃহস্পতিবার কাটোয়া ১ ব্লকের আলমপুর পঞ্চায়েতের গাঁফুলিয়া গ্রামের ঘটনা। বিডিও মকবুল ইলমির দাবি, ‘‘কাটোয়া চাইল্ড লাইন মারফত খবর পেয়ে ওই গ্রামে যাই আমরা। বর ও কনেপক্ষ আমাদের কথা বুঝেছেন। আপাতত বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন পুলিশ, প্রশাসনের কর্তারা গিয়ে দেখেন বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। তাঁদের দেখেই অবশ্য অনুষ্ঠানে ছেদ পড়ে। ওই নাবালিকার বাবা রাজকুমার পাল ও ছেলের বাবা বিধান মণ্ডলকে দ্রুত বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। জানা যায়, বছর চোদ্দোর ওই নাবালিকা আলমপুর হরিমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তাঁর বিয়ে ঠিক হয়েছে ওই গ্রামেরই বছর বাইশের উজ্জ্বল মণ্ডলের সঙ্গে। হায়দরাবাদে কাজ করেন ওই যুবক। মেয়েটির বাবার দাবি, ‘‘অভাবের সংসারে ভাল পাত্র পেয়ে বিয়েতে রাজি হয়ে যাই। তবে এ বার মেয়ের বিয়ের বয়স হলেই বিয়ে দেব।’’ ছেলের বাবারও দাবি, মেয়ের বিয়ের বয়সটা ভেবে দেখা হয়নি। তবে প্রশাসনের কর্তাদের কম বসয়ে বিয়ের অসুবিধে, শরীরে-মনে প্রভাব বুঝিয়ে বলার পরে আপাতত বিয়ে না দেওয়ার আশ্বাস দেন তাঁরা।
খোঁজ মিলল না যুবকের। ২৪ ঘণ্টা পরেও খোঁজ মিলল না নদীতে নিখোঁজ যুবকের। বুধবার সন্ধ্যায় কাটোয়া শ্মশানঘাটে ভাগীরথীতে স্নান করতে নামেন ভাতারের বাসিন্দা সৌরেন সাঁই। রাতেই অসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মীরা এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বর্ধমান থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ডুবুরিরা খোঁজ শুরু করেন। তবে বিকেল পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি সৌরেনবাবুর। তাঁর এক আত্মীয়, ভাতারের বাসিন্দা অমিতাভ হাজরা জানান, ঘাটে আলো ছিল না। তারমধ্যেই দাহ করার পরে স্নান করতে নামেন তাঁরা। তখনই জলের গভীরতা ঠাহর করতে না পেরে ভেসে যান সৌরেনবাবু। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। বিষয়টি নজরে রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy