Advertisement
E-Paper

ফেলে যাওয়া সিম কার্ডের সূত্র ধরে ঠিকাদার খুনের কিনারা

কী কারণে খুন, তা বুঝে উঠতে পারেনি পুলিশ। বেশ কিছু দিন তদন্ত করেও কিনারা করতে না পারায় তদন্তভার যায় সিআইডি-র হাতে। গত ১১ জুন সিআইডি উত্তরপ্রদেশের চন্দৌলি থেকে দীপক চহ্বণ নামে এক অভিযুক্তকে ধরা হয়। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতকে জেরা করে তিন জনের নাম মেলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৭ ১৪:৫৫
ধৃত পাপ্পু রাম। নিজস্ব চিত্র

ধৃত পাপ্পু রাম। নিজস্ব চিত্র

খুনের পরে ঘটনাস্থলে একটি ব্যাগ ফেলে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। সেটিতে মিলেছিল এক সিম কার্ড। সেই কার্ডের সূত্র ধরে দু’বছর আগে দুর্গাপুরের বিধাননগরে আবাসনে ঢুকে এক ঠিকাদারকে খুনের কিনারা করল সিআইডি। নিহত ঠিকাদারের পুরনো এক কর্মীকে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। সে-ই মূল চক্রী বলে দাবি সিআইডি-র।

বিধাননগরে ইস্পাতপল্লির একটি বাড়ির দোতলায় ভাড়া থাকতেন রামদেও বেড়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি গুজরাতে। দুর্গাপুরে বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিক সরবরাহের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করতেন তিনি। ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘরেই খুন হয়ে যান তিনি। অভিযোগ, জনা তিনেক দুষ্কৃতী ভোজালি নিয়ে হামলা চালায়। বেশ কয়েকটি কোপ মারা হয় রামদেওকে। তাঁর সঙ্গী মদন লালও জখম হন। বাড়ির মালিক ছত্রধর সাহা জানান, আওয়াজ শুনে বেরিয়ে তিনি দেখেছিলেন, আবাসনের গেট দিয়ে তিন-চার জন যুবক দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে রামদেওকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি ও দু’টি ব্যাগ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ছুরিটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

কী কারণে খুন, তা বুঝে উঠতে পারেনি পুলিশ। বেশ কিছু দিন তদন্ত করেও কিনারা করতে না পারায় তদন্তভার যায় সিআইডি-র হাতে। গত ১১ জুন সিআইডি উত্তরপ্রদেশের চন্দৌলি থেকে দীপক চহ্বণ নামে এক অভিযুক্তকে ধরা হয়। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতকে জেরা করে তিন জনের নাম মেলে। রবিবার পাপ্পু রাম নামে এক জনকে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করে আনা হয়। বাকি দুই অভিযুক্ত গজেন্দ্র সিংহ ও গোপাল রাম অন্য এক মামলায় জোধপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি।

সিআইডি সূত্রে জানা যায়, পাপ্পু এক সময়ে রামদেওয়ের কাছে কাজ করত। সেই সময়ে আর্থিক ও ব্যবসায়িক বিষয় নিয়ে দু’জনের বিবাদ হয়। তদন্তকারীদের দাবি, তারই জেরে পাপ্পু সুপারি কিলার হিসেবে দীপক ও অন্য দু’জনকে নিয়োগ করে। কিন্তু খুনের পরে ঘটনাস্থলে তাদের ফেলে রেখে যাওয়া ব্যাগে একটি সিম কার্ড মেলে। সেটি কোন মোবাইলে ব্যবহার হয়েছিল, তার আইএমইআই নম্বর বের করে সিআইডি। সেই সূত্র ধরে দীপককে গ্রেফতার করা হয়। তার পরেই খোঁজ মেলে গোটা চক্রের, জানায় সিআইডি।

CID Arrest Durgapur murder case murder দুর্গাপুর
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy