Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Raniganj

ECL: কাজ বন্ধে দিনে ক্ষতি ১২২.৫ কোটি টাকার

ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় শনিবার বলেন, “শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৩৫ হাজার টন কয়লা উত্তোলন করা যায়নি।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২২ ০৮:০৪
Share: Save:

কাজে পুনর্নিয়োগের দাবিতে শুক্রবার ১৪ ঘণ্টা ধরে ইসিএলের সাতটি এরিয়ার ৪৪টি কোলিয়ারিতে পরিবহণ এবং সেগুলির মধ্যে ২৫টিতে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ। এর জেরে বড় অঙ্কের ক্ষতির কথা জানাল ইসিএল। তবে শুক্রবার রাত থেকেই কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।

ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় শনিবার বলেন, “শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৩৫ হাজার টন কয়লা উত্তোলন করা যায়নি। ফলে, প্রায় ১২২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্থার সাতগ্রাম, কেন্দা, বাঁকোলা, কাজোড়া ও ঝাঁঝরা প্রজেক্টে প্রায় দু’দশক ধরে বিভিন্ন বেসরকারি ঠিকা সংস্থার অধীনে ৮৪১ জন রক্ষী কাজ করতেন। সর্ব শেষ যে সংস্থাটির অধীনে তাঁরা কাজ করছিলেন, সেটির সঙ্গে ইসিএলের চুক্তির মেয়াদ গত ৩১ মার্চ শেষ হয়ে যায়। শুক্রবার থেকে ওই কর্মীরা কর্মহীন হয়ে পড়েন। এর প্রতিবাদে ওই পাঁচটি এবং শোনপুর বাজারি, পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার ৪৪টি কোলিয়ারিতে কয়লা পরিবহণ এবং এর মধ্যে ২৫টি কোলিয়ারিতে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।

তবে সংস্থা কর্তৃপক্ষ আলোচনার মাধ্যমে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে, শুক্রবার রাত ১০টায় বিক্ষোভ থামে। পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়। নীলাদ্রি বলেন, “শনিবার সংস্থার সদর দফতরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসেছিলেন। মেয়াদ শেষ হওয়া ঠিকা সংস্থাকে আরও তিন মাস (এপ্রিল থেকে জুন) কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে, কাজ হারানো রক্ষীদের দাবি আপাতত মিটল।”

যদিও ইসিএলে কর্মরত বেসরকারি সংস্থার রক্ষী শিবশঙ্কর দাঁ, দেবদাস আচার্য, প্রদীপ গড়াইয়দের দাবি, “ঠিকা সংস্থা পরিবর্তন করা হলেও আমাদের ছাঁটাই করা
চলবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Raniganj Coal Mine Protest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE