Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Burdwan Medical College

ফের রোগীর আত্মীয়কে মারের নালিশ

১৯ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে রক্ষীদের লাঠির আঘাতে মাথা ফাটার অভিযোগ করেছিলেন বুদবুদের বাসিন্দা শেখ কওসর আলি। বহির্বিভাগের পাঁচ তলায় অপারেশন থিয়েটারের বাইরে অপেক্ষা করা নিয়ে বচসার জেরে এক রক্ষী তাঁকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২০ ০৩:৫৬
Share: Save:

ফের হাসপাতালের রক্ষীদের মারধরে আহত হওয়ার অভিযোগ জানালেন এক রোগীর পরিজন। দিন দশেক আগে একই রকম ঘটনার অভিযোগ উঠেছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের রাধারানি ওয়ার্ডের সামনে ওই ঘটনার পরে, অভিযুক্ত রক্ষীকে সাত দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে হাসপাতালের রাধারানি ওয়ার্ডে ভর্তি হন ভাতারের বিজয়পুরের বাসিন্দা জিয়ারুল শেখ। তাঁর ব্রেন স্ট্রোক হয়। এ দিন সকালে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। রোগীকে দেখার জন্য নির্ধারিত সময়ে জিয়ারুলকে দেখতে আসেন তাঁর শ্বশুর শেখ হায়দার। অভিযোগ, সময় শেষ হয়ে গেলে তাঁকে ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু রোগীর অবস্থা খারাপ থাকায় তাঁকে সেখানে আরও কিছুক্ষণ থাকতে দেওয়ার অনুরোধ করেন হায়দার।

হায়দারের অভিযোগ, তাঁর অনুরোধ না শুনে এক রক্ষী গলা চেপে ধরে মারতে-মারতে বাইরে নিয়ে যান। ওয়ার্ডের বাইরে এনে লাঠি দিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়। তাতে আঙুল ও পায়ে চোট লাগে, কিছুক্ষণের জন্য জ্ঞানও হারান বলে অভিযোগ বছর পঞ্চাশের হায়দারের। ঘটনার পরে, রাধারানি ওয়ার্ডের সামনে পরিস্থিতি তেতে ওঠে। অন্য রোগীর আত্মীয়েরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। খবর পেয়ে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের কর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

হাসপাতাল সূত্রের দাবি, ঘটনার পরে দু’পক্ষকেই পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে মুখোমুখি বসিয়ে মিটমাট করা হয়। অভিযুক্ত রক্ষী ক্ষমা চান রোগীর পরিজনদের কাছে। হায়দারের চিকিৎসা করানো হয় হাসপাতালেই।

১৯ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে রক্ষীদের লাঠির আঘাতে মাথা ফাটার অভিযোগ করেছিলেন বুদবুদের বাসিন্দা শেখ কওসর আলি। বহির্বিভাগের পাঁচ তলায় অপারেশন থিয়েটারের বাইরে অপেক্ষা করা নিয়ে বচসার জেরে এক রক্ষী তাঁকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগও দায়ের করা হয়। ওই ঘটনার পরে নিরাপত্তারক্ষীদের সতর্ক করা হয় এবং লাঠি ছাড়া কাজ করার নির্দেশ দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফের তেমন ঘটনার অভিযোগ ওঠার পরে এ দিন হাসপাতালের সুপার প্রবীর সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীকে সাত দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটলে, বরখাস্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Conflict Burdwan Medical College
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE