কাছাকাছি বেশ কয়েকটি পেট্রল পাম্প রয়েছে। সর্বক্ষণই সেগুলি খোলা থাকে। তা সত্ত্বেও কাটোয়া শহরের নানা প্রান্তে খোলা বাজারে বোতলে ভরে দেদার পেট্রল বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। চা-তেলেভাজার দোকান থেকে মুদিখানা, স্টেশনারি জিনিসের দোকানে বেআইনি ভাবে পেট্রল মজুত, এক ও দুই লিটারের বোতলে ভরে বেশি দামে বিক্রি চলছে বলে অভিযোগ শহরবাসীর একাংশের। বেশি লাভ পেতে ভেজাল তেলও বিক্রি করা হচ্ছে বলে দাবি অনেকের।
পেট্রলের মতো দাহ্য পদার্থ এ ভাবে মজুত ও বিক্রি হওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। কয়েকদিন আগে কাটোয়ার রায়েরপাড়া গ্রামে বাসস্টপের কাছে একটি চায়ের দোকানে আগুন লাগে। পেট্রল ঢেলে বিক্রি করতে গিয়েই ওই কাণ্ড ঘটে বলে বাসিন্দাদের অনেকের দাবি। ওই ঘটনার পরেই বেআইনি এই কারবার বন্ধ করতে ব্যবস্থার দাবি উঠেছে শহরে। মহকুমা প্রশাসনের আশ্বাস, শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, একমাত্র পাম্প ছাড়া, কোথাও পেট্রল মজুত করে বিক্রি করা যায় না। পাম্পে মাটির তলায় নিদিষ্ট ট্যাঙ্কারে পেট্রল রাখা থাকে। তাতে বিপদের ঝুঁকি থাকে না। তবু পেট্রল গাড়িতে ভরার সময়ে নানা নিয়ম মানতে হয়। এমনকি, মোবাইলে কথা বলাও নিষেধ থাকে। কিন্তু খোলা বাজারে বিনা সুরক্ষাতেই নানা দোকানে বড় বড় জারে প্রচুর পরিমাণে পেট্রোল মজুত করে বিক্রি করার প্রবণতা বেড়ে চলেছে বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের অনেকে জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে মানুষের সুবিধার জন্য কোনও কোনও দোকানদার অল্প পরিমাণ পেট্রল বোতলে ভরে বিক্রি করতেন। মাঝপথে জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে গ্রামগঞ্জের ওই সমস্ত দোকান থেকে পেট্রল কিনতেন অনেক গাড়ির চালক। কিন্তু শহরাঞ্চলে রীতিমতো দোকানে-দোকানে পেট্রলের ব্যবসা শুরু হওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই।