বছর চোদ্দোর এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল গ্রামেরই এক যুবকের বিরুদ্ধে। কাঁকসার নতুনগ্রামের ওই নাবালিকা বাড়িতে ওই ঘটনা জানানোর পরে অভিযুক্তের বাড়িতেও ভাঙচুর, আগুন ধরানো হয় বলে অভিযোগ।
শুক্রবার দু’পক্ষই এ নিয়ে কাঁকসা থানায় অভিযোগ করে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ওই নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষাও হয় এ দিন। অভিযুক্ত মিঠুন আঁকুড়েকে সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে পুলিশ।ওই কিশোরী পুলিশকে জানায়, বুধবার দুপুর দেড়টায় মাঠে ছাগল চরাতে গিয়েছিল সে। আচমকা পিছন থেকে জাপটে ধরে তার হাত-পা-মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে দেয় মিঠুন। তার অভিযোগ, মারধর করে ধর্ষণের পরে কাউকে না জানানোর হুমকিও দেয় ওই যুবক। পরে ওই অবস্থাতেই তাকে ফেলে পালায়। বেশ কিছুক্ষণ পরে কোনও রকমে বাড়ি ফেরে কিশোরী।
মেয়েটির পরিবারের দাবি, ছোট থেকেই নতুনগ্রামে মামারবাড়িতে থাকে সে। বাবা-মা থাকেন বুদবুদের মানকর গ্রামে। ঘটনার দিন নিজের বাড়ি ফিরে দিদিমাকে সব খুলে বলে সে। নাতনিকে ওই অবস্থায় দেখার পরে মানকরে খবর পাঠান দিদিমা। বাবা-মা আসার পরে শুক্রবার থানায় অভিযোগ জানানো হয়। দিদিমার অভিযোগ, এ দিন থানায় যাওয়ার সময় অভিযুক্তের ঘনিষ্ঠেরা তাঁদের বাধা দেন। দু’পক্ষের বচসা বাধে।
মিঠুনের পরিবারের দাবি, মানকর থেকে ওই কিশোরীর বাড়ির লোকজন এসে তাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভাঙচুর, মারধরও করা হয়। তবে বিবাহিত মিঠুনের নামে ধর্ষণের অভিযোগ মানতে চাননি তার বাড়ির লোক। খবর পেয়ে এ দিন নতুনগ্রামে যায় কাঁকসা থানার পুলিশ। দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। অভিযুক্তকে ধরার পাশাপাশি তার বাড়িতে আগুন ধরানো ও মারধরের ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা-সহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy