অভিযুক্ত ভোলা। নিজস্ব চিত্র
দোকানের কাজে রাত হয়ে যাওয়ায় বাড়ি না ফিরে হাসপাতালের বহির্বিভাগের বারান্দার এক দিকে শুয়েছিলেন দম্পতি। মাঝরাতে স্বামীর সামনেই ওই মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে। রথীন বৈরাগ্য ওরফে ভোলা নামে ওই যুবককে হাতেনাতে ধরেও ফেলেন ওই মহিলার স্বামী। হাসপাতালের ক্যাম্পে থাকা পুলিশ সঙ্গেসঙ্গেই গ্রেফতার করে কালনার বাসিন্দা ওই যুবককে।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মতো জায়গায় এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়ে। রক্ষী, পুলিশ এমনকি ভর্তি থাকা রোগীদের পরিজনদের ভিড়ে যে হাসপাতালে জায়গা হয় না সেখানে এমন ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি করবে কি না সে প্রশ্নও উঠেছে। হাসপাতাল সুপার উৎপল দাঁ বলেন, ‘‘গোটা রাজ্যের মধ্যে একমাত্র বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চারপাশেই জবরদখল করে এত লোক, দোকান দেখতে পাওয়া যায়। এগুলি সরাতে না পারলে দুষ্কর্ম ঠেকানো মুশকিল।’’ তাঁর দাবি, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে লোকজনের আনাগোনা কম। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্ধমান সদর) প্রিয়ব্রত রায় বলেন, ‘‘হাসপাতালে নিরাপত্তা রক্ষী, পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। তার মধ্যেও এমন ঘটনা কী ভাবে ঘটল খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার স্বামী হাসপাতাল চত্বরেই চায়ের দোকান চালান। তাঁর দাবি, রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে মানসিক রোগে আক্রান্ত স্ত্রী এবং এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালের বহির্বিভাগের বারান্দায় মশারি টাঙিয়ে নিশ্চিন্তে শুয়ে পড়েন তিনি। আচমকা ঘুম ভেঙে দেখেন ওই ঘটনা। জানা গিয়েছে, স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে নিয়ে কাছেই মিঠেপুকুরে ভাড়া বাড়িতে থাকেন তিনি। তবে রাতে দোকান খোলা থাকলে বেশি আয়ের সম্ভাবনা থাকে। রবিবারও রাত হয়ে যাওয়ায় স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে আর বাড়ি না ফিরে নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে হাসপাতালের বারান্দাতেই শুয়ে পড়েন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। তাঁর অভিযোগ, পরে স্ত্রীর চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। উঠে দেখেন, ভোলা তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে। ভোলাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তিনি। এরপর চিৎকার চেঁচামেচি করলে হাসপাতালের ক্যাম্পের পুলিশ এসে ভোলাকে ধরে নিয়ে যায়। ওই মহিলাকে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy