Advertisement
০৮ মে ২০২৪

পাশ করাতে টাকা চাওয়ার নালিশ, জেরা

জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার্থীদের কাছে টাকা নেওয়ায় অভিযুক্ত সংস্থার মালিককে জেরা করল কালনার পুলিশ। তদন্তের জন্য ব্যাঙ্কের কিছু নথিপত্র নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। যদিও সীমা দত্ত নামে ওই মালিক দাবি করেন, ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে।

কেদারনাথ ভট্টাচার্য
কালনা শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৭ ০১:৪৩
Share: Save:

জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার্থীদের কাছে টাকা নেওয়ায় অভিযুক্ত সংস্থার মালিককে জেরা করল কালনার পুলিশ। তদন্তের জন্য ব্যাঙ্কের কিছু নথিপত্র নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। যদিও সীমা দত্ত নামে ওই মালিক দাবি করেন, ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে।

মেডিক্যালে ভর্তির জন্য দেশে প্রথম সর্বভারতীয় অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার আগে সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রিয়াঙ্কা ভৌমিক নামে এক আইনজীবী। তিনি অভিযোগ করেন, কালনা বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি সংস্থা পরীক্ষায় পাশ করানোর নাম করে ছাত্রছাত্রীদের কাছে টাকা তুলছে। ওই আইনজীবী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর-সহ নানা জায়গায় অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি।

কালনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় খোঁজ করে সংস্থাটির খোঁজ মেলেনি। তবে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ডাকযোগে সীমাদেবীর সংস্থার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ আসে কালনা থানায়। ২০১৪ সালের ১ এপ্রিল কালনা পুরসভার কাছে সংস্থাটি চালানোর জন্য শংসাপত্র পেয়েছিলেন সীমাদেবী। শুক্র এবং শনিবার দু’দফায় পুলিশ সীমাদেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁর কাছ থেকে ব্যাঙ্কের পাশবই-সহ বেশ কিছু নথিপত্র নেওয়া হয়। বছর পঁয়তাল্লিশের সীমাদেবী পুলিশের কাছে দাবি করেন, কালনার ছোট মিত্রপাড়ায় ২০১৪ সালে অফিস খোলার কথা থাকলেও স্থানাভাবের জন্য তিনি পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি ঘরে ভাড়া নিয়ে সংস্থাটি খোলেন। তবে ব্যবসায় সাড়া না পেয়ে সংস্থা বন্ধ করে দেন। এখন তিনি বেঙ্গালুরুর নার্সিং কলেজের অ্যাডমিশন কো-অর্ডিনেটর পদে কর্মরত। সেখানেই দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে থাকেন। সম্প্রতি মায়ের মৃত্যুর কারণে কালনায় ভাইয়ের বাড়িতে এসেছিলেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, সীমাদেবী দাবি করেছেন, জয়েন্ট এন্ট্রান্সের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। যে আইনজীবী অভিযোগ করেছেন তাঁর কৌঁসুলি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় চক্রান্ত করে মিথ্যে অভিযোগ করছেন বলে তাঁর দাবি। তাঁর সঙ্গে নানা বেআইনি কাজ করতে রাজি না হওয়ার জন্যই এই চক্রান্ত বলে তাঁর দাবি। অভিজিৎবাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অবশ্য বলেন, ‘‘মামলাটি আমি করিনি। ওঁর যদি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে তা আগে কেন প্রশাসনকে জানালেন না?’’

কালনার এসডিপিও প্রিয়ব্রত রায় জানান, কালনা থানায় যিনি অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন, তাঁর খোঁজ মিলছে না। তবে পুলিশ অভিযোগের তদন্ত করছে। কালনার পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, ‘‘পুরসভার আগের বোর্ড ওই সংস্থাটিকে ব্যবসা করার অনুমতি দিয়েছিল। তবে চলতি বোর্ড কোনও সংস্থাকে লাইসেন্স দেয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

JEE Bribe
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE