এলোমেলো: এখনও মাঠে ছড়িয়ে নির্মাণ সামগ্রী। নিজস্ব চিত্র
মহকুমার যে কোনও বড় প্রতিযোগিতা হয় এই মাঠে। অথচ দু’বছর ধরে স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ চলায় বন্ধ সে সব। এমনকী, এ মরসুমেও মহকুমা ফুটবল লিগ হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তায় ক্রীড়াপ্রেমীরা।
কালনার অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামে মহকুমা ফুটবল লিগ ছাড়াও ইন্ডিপেনডেণ্ট কাপ, সিএবির কিছু ক্রিকেট ম্যাচ হয়। এ ছাড়াও সারা বছর ধরে বিভিন্ন বিভাগের ক্রিকেট, ফুটবল ছাড়াও বসে অ্যাথলেটিক্সের আসর। মেলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভাও হয় এই মাঠে। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সামান্য বৃষ্টিতে জল জমে, স্টেডিয়ামের চাঙর খসে বেহাল হয়েছিল মাঠটি। শেষে রাজ্য ক্রীড়া দফতর ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করে মাঠ সংস্কারে। ঠিক হয়, গ্যালারি সংস্কার ছাড়াও নতুন গ্যালারি তৈরি হবে। মাঠটিও আধুনিক ভাবে তৈরি করা হবে।
২০১৫ সালের মাঝামাঝি মহকুমা ক্রীড়া লিগ শেষ হওয়ার পরে স্টেডিয়াম এবং মাঠ তুলে দেওয়া হয় ঠিকাদার সংস্থার হাতে। বন্ধ হয়ে যায় খেলাধুলা। কারণ, কালনা শহরে রাজবাড়ি মাঠের মতো কয়েকটা মাঠ থাকলেও তা এতই ছোট যে বড় প্রতিযোগিতা সম্ভব নয়। গত বছর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার তরফে সিনিয়র লিগের ম্যাচ আটঘড়িয়া এবং সমুদ্রগড়ের মাঠে করার উদ্যোগ করা হলেও বেশির ভাগ দলই দূরে গিয়ে খেলতে বেঁকে বসে। ফলে লিগ হয়নি। এ বারও মাঠের কাজ যে পর্যায়ে তাতে লিগ হবে কি না সন্দেহ শহরের মানুষের।
স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায়, ছিটিয়ে রয়েছে বালি, পাথর, রড। নতুন গ্যালারির ছাউনির কাজও বাকি। মাস চারেক আগে কাজের গতি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন জেলাশাসকও। যদিও ওই ঠিকাদার সংস্থার দাবি, ২৫ জুনের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। পূর্ত দফতর সূত্রে আবার খবর, কল্যাণী স্টেডিয়ামের আদলে মাঠ তৈরি হবে। তাতে মাস চারেক লাগবে। মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক নুরুল চৌধুরী বলেন, ‘‘তৈরি মাঠ হাতে পেতে এখনও কয়েকমাস লাগবে। এলাকার ক্লাবগুলি বাইরের মাঠে লিগও খেলতে চায় না। ফলে এ বারও লিগ হওয়া মুশকিল।’’ মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানান, ঠিকাদার সংস্থার কাছে দেরির কারণ জানতে চাওয়া হবে। উত্তরে সন্তুষ্ট না হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy