Advertisement
E-Paper

আচমকা পিছোল সমাবর্তন, ক্ষোভ বিশ্ববিদ্যালয়ে

আচমকা এমন সিদ্ধান্তে বিভ্রান্তি, ক্ষোভ ছড়িয়েছে সম্মান প্রাপকদের মধ্যে। প্রশ্ন উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক দফতরের কাজ নিয়েও। যদিও উপাচার্য নিমাই সাহার দাবি, “রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের ব্যস্ততার জন্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:২৬
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

সোমবার রাত পর্যন্ত বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেখা গিয়েছে, ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে সমাবর্তন উৎসব হবে। তার সঙ্গেই ওয়েবসাইটে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রেজিস্ট্রার তোফাজ্জেল হোসেন জানিয়ে দিয়েছেন, অনিবার্য কারণে সমাবর্তন পিছিয়ে যাচ্ছে।

আচমকা এমন সিদ্ধান্তে বিভ্রান্তি, ক্ষোভ ছড়িয়েছে সম্মান প্রাপকদের মধ্যে। প্রশ্ন উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক দফতরের কাজ নিয়েও। যদিও উপাচার্য নিমাই সাহার দাবি, “রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের ব্যস্ততার জন্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ জুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দিন। ওই দিনই সমাবর্তন উৎসব করার আলোচনা চলছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে এ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সরাসরি কোনও কথা বলেননি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য শীর্ষ কর্তারা অভিযোগ করেন, পরীক্ষা নিয়ামক দফতরের গাফিলতির জন্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান নষ্ট হল। তাঁদের দাবি, পরীক্ষার ফল নিয়ে গোলমাল থাকায় কারা কারা স্বর্ণপদক পাবেন, তার তালিকা সঠিক ভাবে তুলে ধরতে পারেনি পরীক্ষা নিয়ামক দফতর। বিভিন্ন বর্ষের পূনর্মূল্যায়ণের ফল প্রকাশ হয়নি বলে সম্পূর্ণ ভাবে মেধা তালিকাও প্রকাশ হয়নি। ফলে স্বর্ণপদক দেওয়ার পরেও বিতর্ক দেখা দিতে পারে। ২০১৭ সালে শেষ সমাবর্তন উৎসবেও এ রকম সমস্যা দেখা দিয়েছিল। চিঠি দেওয়ার পরেও শেষ মূহুর্তে ‘টেকনিক্যাল এরর’ দেখিয়ে তিন জনকে স্বর্ণপদক দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলেন, “যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক দফতর সময়ে ফল বের করতে পারে না, তাঁদের লজ্জা হওয়া উচিত। সমাবর্তনের পর স্বর্ণপদক ফেরত নেওয়ার চিঠি পাঠালে সেটা চরম হাস্যকর হত। তার চেয়ে সমাবর্তন পিছিয়ে গিয়ে ভালই হয়েছে।’’

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সংবর্ধনা-প্রাপক বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত। সমাবর্তন পিছিয়ে যাওয়ায় তাঁরা ক্ষুব্ধ। তাঁদের অনেকে বলেন, “বিমানের টিকিট কাটা হয়ে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি দিয়েছে। সমাবর্তন পিছিয়ে যাওয়ায় সমস্যা হল। ফের আসতে পারব কি না, বুঝতে পারছি না।’’

University of Burdwan Convocation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy