Advertisement
E-Paper

মঙ্গলবারে খোলা থাকল সব কেন্দ্রই

রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, যে সব শিশু, প্রসূতি ও অন্তঃসত্তাদের কেন্দ্রগুলি থেকে পুষ্টিকর খাবার ও আয়রন ট্যাবলেট দেওয়া হয়, তা বজায় রাখতে হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২০ ০৩:২৪
ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাস-সতর্কতা হিসেবে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি। তবে উপভোক্তাদের বাড়িতে পৌঁছনো হবে দু’কেজি করে চাল ও আলু। যদিও মঙ্গলবার দুর্গাপুর ও আসানসোল-সহ জেলার নানা প্রান্তের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি খোলাই ছিল। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দাবি, বিকেল পর্যন্ত সরকারি কোনও নির্দেশিকা আসেনি। পাশাপাশি, খাবার পৌঁছনোর বিষয়টি নিয়েও তাঁরা ধন্দে রয়েছেন।

এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ রাতুড়িয়া হাউসিং কলোনিতে গিয়ে দেখা গেল, বাসনপত্র গুছিয়ে খোলা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি বন্ধের তোড়জোড় চলছে। সেখানের কর্মী তপতী মণ্ডল জানান, এ দিনও কেন্দ্র থেকেই বাচ্চা ও মায়েদের রান্না করা খাবার দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বুধবার থেকে বাচ্চা ও মায়েদের আসতে বারণ করা হয়েছে।’’

এইচএসসিএল নিশানহাট বস্তি এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে থেকে ৪৫ জন শিশু ও ১৫ জন মাকে রান্না করা খাবার দেওয়া হয়েছে। সেখানেও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশিকা আসেনি বলে জানান কর্মী ললিতা ঘোষ। তিনি এ-ও বলেন, ‘‘বুধবারও সাধারণ ভাবেই রান্না হবে।’’

রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, যে সব শিশু, প্রসূতি ও অন্তঃসত্তাদের কেন্দ্রগুলি থেকে পুষ্টিকর খাবার ও আয়রন ট্যাবলেট দেওয়া হয়, তা বজায় রাখতে হবে। শিশু ও মায়েদের জন্য বাড়ি-বাড়ি চাল-ডাল ও ‘আয়রন ট্যাবলেট’ পাঠানোরও ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এই নির্দেশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে মঙ্গলবার পৌঁছয়নি বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ললিতাদেবী, তপতীদেবীদের সংশয়, ‘‘শুকনো না রান্না করা খাবার দেওয়া হবে, না কি চাল-আলু দেওয়া হবে, এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানি না। যেমন নির্দেশ আসবে, তেমন পদক্ষেপ করা হবে।’’

পাশাপাশি, কী ভাবে খাবার বাড়ি-বাড়ি পৌঁছনো সম্ভব হবে, তা নিয়েও সংশয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের একাংশ। তাঁরা জানান, সাধারণ ভাবে একটি কেন্দ্রে দু’জন করে কর্মী থাকেন। উপভোক্তার সংখ্যা, অনেক ক্ষেত্রেই ৬০-৭০ জন। ফলে, দু’জনের পক্ষে এত জনের বাড়িতে কী ভাবে খাবার পৌঁছে দেওয়া যাবে, তা নিয়ে

সন্দিহান তাঁরা।

যদিও মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অনির্বাণ কোলে বলেন, ‘‘আজ, বুধবার থেকে সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। খাবার কী ভাবে বাড়ি বাড়ি পৌঁছনো হবে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথাবার্তা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। স্থানীয় পাড়ার বাচ্চা ও মায়েরাই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আসেন। তাই, খুব একটা অসুবিধা হবে না বলেই মনে হচ্ছে।’’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শিশু ও প্রসূতি মিলিয়ে পশ্চিম বর্ধমানে প্রায় পঞ্চাশ হাজার উপভোক্তা রয়েছেন। মঙ্গলবার সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্পের জেলা আধিকারিক সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ দিন জেলার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি খোলা ছিল। তবে, আজ, বুধবার সেগুলি বন্ধ থাকবে কি না, এখনই বলা যাচ্ছে না। রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের বুধবার দুপুরে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক হবে। সেখানেই সম্পূর্ণ নির্দেশিকা মিলবে বলে জেনেছি।’’

Anganwadi Coronavirus Durgapur Asansol
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy