Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

১৩টি ওয়ার্ডে বিশেষ নজর

মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) জানান, পুরসভার ২৩-২৯ নম্বর এবং ৪১-৪৬ নম্বর, এই ১৩টি ওয়ার্ডর্কে ‘হাই ফোকাস জ়োন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২০ ০২:১০
Share: Save:

করোনা-সংক্রমণ ঠেকাতে আসানসোল পুরসভার ১৩টি ওয়ার্ডের উপরে বিশেষ নজরদারি ও ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা। পুর কর্তৃপক্ষ জানান, এই ওয়ার্ডগুলিকে ‘হাই ফোকাস জ়োন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে পরিবার সদস্যদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেবেন পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। কারও অসুস্থতার খবর পেলেই চিকিৎসকেরা ব্যবস্থা নেবেন। সোমবার থেকেই এই কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানান পুরসভার কর্তারা।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আসানসোল পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডকে আগেই বিশেষ নজরদারির মধ্যে আনা হয়েছে। গণ্ডিবদ্ধ করা হয়েছে তিনটি এলাকা। এই এলাকাগুলি সংক্রমণ মুক্ত রাখতে দ্রুততার সঙ্গে জীবাণুনাশক ছড়ানোর কাজ হচ্ছে বলে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি। এ বার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শ অনুযায়ী আরও ১৩টি ওয়ার্ডকে বিশেষ নজরদারিতে আনা হয়েছে বলে জানান পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) দিব্যেন্দু ভগত। তিনি বলেন, ‘‘এ সব অঞ্চলে কী-কী করণীয়, তার রূপরেখাও তৈরি হয়ে গিয়েছে। সোমবার থেকেই কাজে নেমে পড়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকেরা।’’

মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) জানান, পুরসভার ২৩-২৯ নম্বর এবং ৪১-৪৬ নম্বর, এই ১৩টি ওয়ার্ডর্কে ‘হাই ফোকাস জ়োন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকেরা সেখানকার প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে যদি কারও মধ্যে কোনও উপসর্গ রয়েছে বলে বুঝতে পারেন, তবে তা জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হবে। তার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, এই ১৩টি ওয়ার্ডকে বিশেষ নজরদারির মধ্যে আনা হলেও পুরসভার মোট ১০৬টি ওয়ার্ডেই স্বাস্থ্যকর্মীরা ঘুরে খবর সংগ্রহ করবেন। এই কাজের জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।

আসানসোল মহকুমায় ইতিমধ্যে একাধিক করোনা আক্রান্তের হদিস মিলেছে। প্রত্যেকেই আসানসোল পুরসভা অঞ্চলের বাসিন্দা। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) দিব্যেন্দুবাবু জানান, ওই আক্রান্তেরা যে সব ওয়ার্ডে বাস করেন, সেগুলি এবং তার আশপাশের ওয়ার্ডের জন্য বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। নুরউদ্দিন রোড, হাটন রোড, নয়ামহল্লা এলাকায় কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করার পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও বাইরে বেরনো পুরোপুরি বন্ধ করা হচ্ছে। চলছে জীবাণুনাশক ‘স্প্রে’ এবং সাফাইয়ের কাজও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in West Bengal Asansol
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE