ফাইল চিত্র।
করোনা-সংক্রমণের জেরে কর্মী আনার ক্ষেত্রে পন্থা বদলাল ইসিএল (ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেড)। সংস্থার তরফে গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় বসবাসকারী কর্মীদের কাজে না আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি।
ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০ জুলাই সংস্থার ঝাঁঝরা প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, দুর্গাপুরের গণ্ডিবদ্ধ এলাকা থেকে যে সমস্ত কর্মীরা যাতায়াত করেন, তাঁরা যেন বাড়িতেই দশ দিন নিভৃতবাসে থাকেন। এর আগে ১৮ জুলাই সংস্থার সদর দফতর থেকে ‘হোয়াটস অ্যাপ’-এর মাধ্যমে প্রতিটি এরিয়া (এ রাজ্যে সংস্থার ১২টি এরিয়া) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়, গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় বসবাসকারী কোনও কর্মী যেন কাজে যোগ না দেন। কোভিড-পরিস্থিতিতে সংস্থার বিধি অনুযায়ী, তাঁদের বিশেষ ছুটি দেওয়া হবে।
‘ইসিএল’-এর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েও আরও কিছু পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। আইএনটিইউসি অনুমোদিত ‘অল ইন্ডিয়া মাইনস ফেডারেশন’-এর সম্পাদক তরুণ গঙ্গোপাধ্যায়, সিটু নেতা দেবীদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, এইচএমএস-এর সাধারণ সম্পাদক শিবকান্ত পাণ্ডেরা জানান, সম্প্রতি গণ্ডিবদ্ধ হওয়া এলাকা থেকে যাতায়াতকারী কর্মীরা এত দিন খনিতে কাজে যোগ দিয়েছেন। সেই সূত্রে তাঁদের সংস্পর্শে আরও অনেক কর্মীই এসেছেন। ওই সমস্ত কর্মীকে চিহ্নিত করে তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি, গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় থাকা কর্মীদেরও কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানানো হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার’, ‘মাস্ক’ বিলির সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।
এ দিকে, বিষয়টি নিয়ে ইসিএল-এর সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, ‘‘করোনা- সংক্রমণের পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত। এর জেরে কর্মী উপস্থিতির হার সামান্য কমেছে। তবে কয়লা উত্তোলন-সহ সংস্থার নানা কাজকর্মে প্রভাব পড়েনি। শ্রমিক সংগঠনগুলির বাকি দাবি খতিয়ে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy