Advertisement
২২ মে ২০২৪
Coronavirus

বোরো বাঁচাতে পাম্পে বিদ্যুৎ দেওয়ার আর্জি

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার বোরো ধানের চাষ বেশ কিছুটা দেরিতে শুরু হয়েছে।

 জলের প্রয়োজন বোরো ধানের জমিতে। নিজস্ব চিত্র

জলের প্রয়োজন বোরো ধানের জমিতে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৫৭
Share: Save:

তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। ভারী বৃষ্টির দেখা নেই বেশ কিছু দিন। তাই বোরো ধান নিয়ে তাঁরা চিন্তায় রয়েছেন, দাবি চাষিদের অনেকের। এই পরিস্থিতিতে সেচের জলের সঙ্কট যাতে না হয়, সে জন্য বিল বাকি থাকায় গভীর-অগভীর নলকূপের সংযোগ ছিন্ন করার বিষয়টি বিবেচনার আর্জি জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্বস্থলী দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন দেবনাথ। ধান বাঁচাতে খাল ও নালাগুলিতে গভীর নলকূপের মাধ্যমে জল দেওয়ার জন্য জলসম্পদ উন্নয়ন দফতরে প্রস্তাবও পাঠিয়েছেন বলে জানান তিনি।

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার বোরো ধানের চাষ বেশ কিছুটা দেরিতে শুরু হয়েছে। ধান গাছে ফুল আসা শুরু হয়েছে। এই অবস্থা থেকে দানা পুষ্ট হওয়া পর্যন্ত জমিতে ভাল জলের প্রয়োজন হয়। জেলার অন্যতম সহ-কৃষি আধিকারিক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে জমিতে এক থেকে দু’ইঞ্চি জমা জল দরকার হয়।’’ কৃষি বিশেষজ্ঞদের দাবি, অন্য বার এই সময়ে বোরো ধানের দানা পুষ্ট হয়ে যায়। এ বার দেরিতে চাষ হওয়ায় তা হয়নি। সাধারণত ফুল আসার সময়ে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে হয়। অথচ, এখন দিনের তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৩৮ ডিগ্রির আশপাশে। ফলে, দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে জমি। তা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত বলে জানান চাষিরা।

মন্তেশ্বরের চাষি গোবিন্দ ঘোষের কথায়, ‘‘আপাতত ‘লকডাউন’-এর ফলে আয় এমনিতেই কমে গিয়েছে। তার উপরে জলের অভাবে বোরো ধানেরও ক্ষতি হলে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হবে।’’

মন্ত্রী স্বপনবাবু শনিবার বলেন, ‘‘বাংলার শস্যভাণ্ডার বলা হয় এই জেলাকে। এখানকার ধান থেকে চালের জোগান দেওয়া হয় সারা রাজ্যে। জলের অভাবে ধানের ফলন কমে গেলে চাল উৎপাদন ব্যাহত হবে। জেলার বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বকেয়া বিলের জন্য নলকূপগুলির সংযোগ যাতে ছিন্ন না করা হয়, সেই আবেদন করা হয়েছে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যে সমুদ্রগড়ের রাহাতপুরে একটি গভীর নলকূপের সংযোগ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী স্বপনবাবু জানান, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফে কোথায় কোথায় সংযোগ ছিন্ন রয়েছে, তার তালিকা চাওয়া হয়েছে। সে তালিকা তৈরি হচ্ছে। তিনি আরও জানান, এর পাশাপাশি, মাঠের পাশ দিয়ে যাওয়া শুকনো নালা, খালগুলিতে যাতে কাছাকাছি গভীর নলকূপ থেকে জল আনা যায়, তা জলসম্পদ উন্নয়ন দফতরকে দেখার আর্জি জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE