Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ক্ষতিপূরণের নির্দেশ না মানায় তলব কর্তাকে

নির্দেশ সত্ত্বেও মৃত খনিকর্মীর মেয়েকে ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় ইসিএলের কর্তাকে ডেকে পাঠাল আদালত। ২৬ অগস্ট হাইকোর্টে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংস্থার সিএমডি-কে।

নীলোৎপল রায়চৌধুরী
পাণ্ডবেশ্বর শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৬ ০০:৫৪
Share: Save:

নির্দেশ সত্ত্বেও মৃত খনিকর্মীর মেয়েকে ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় ইসিএলের কর্তাকে ডেকে পাঠাল আদালত। ২৬ অগস্ট হাইকোর্টে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংস্থার সিএমডি-কে।

ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার খোট্টাডিহি খোলামুখ খনির কর্মী জয়প্রকাশ রাজভরের মৃত্যু হয়। ২০১৩ সালের ১১ মার্চ তাঁর মেয়ে দেওন্তী কুমারী সংস্থার কাছে মৃতের পরিজন হিসেবে তাঁকে চাকরিতে নিয়োগের আবেদন জানান। তাঁর এই আবেদনের পরে সংস্থার তরফে তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষাও করানো হয়। কিন্তু ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খনি কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানিয়ে দেন, অনেক দিন পেরিয়ে যাওয়ায় তাঁকে আর চাকরিতে নিয়োগ করা যাবে না। দেওন্তীদেবী জানান, কর্তৃপক্ষের এই মনোভাব জানার পরে তিনি খনি কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁর বাবার মৃত্যুর পর থেকে বকেয়া মাসিক ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান। তাতেও কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও ইতিবাচক সাড়া না মেলায় তিনি ২০১৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সে বছরই জুনে হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ইসিএলকে তাঁর বাবার মৃত্যুর দিন থেকে বকেয়া মাসিক ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়া ও আদালতের দ্বরস্থ হতে বাধ্য করার জন্য অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

দেওন্তীদেবী জানান, তাতেও সংস্থা কোনও আমল না দেওয়ায় আবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন। সেই বেঞ্চ ২০১৬ সালের ১২ এপ্রিল জানিয়ে দেয়, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল থাকবে। শুধু তাই নয়, বাড়তি আরও ৫ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণ মেলেনি বলে অভিযোগ ওই খনিকর্মীর মেয়ের। তিনি আদালত অবমাননার মামলা করেন।

আবেদনকারীর আইনজীবী পার্থ ঘোষ জানান, ২৯ জুলাই সংস্থার সিএমডি সি কে দে-কে ২৬ অগস্ট আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নির্দেশ না মানার জন্য কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এজলাসে এসে সংস্থার কর্তাকে তা ব্যাখ্যা করতে হবে বলে আদালত জানিয়েছে। এর পরে ইসিএল সুপ্রিম কোর্টে গেলে সেখানে তাদের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

ইসিএলের কর্তারা যদিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সংস্থার জনসংযোগ বিভাগের এক আধিকারিক শুধু বলেন, ‘‘প্রয়োজনীয় পদেক্ষপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Court ECL order
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE