—প্রতীকী ছবি।
চার বছর আগে ভিড়ে ঠাসা আর্থিক সংস্থায় ঢুকে লুঠের ঘটনায় শুক্রবার দু’জনকে ২১ বছর, চার জনকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাবাসের সাজার নির্দেশ দিয়েছে দুর্গাপুর আদালত। শুক্রবার ওই সাজা ঘোষণা হয়।
পুলিশ জানায়, ২০১৩-র ১ ফেব্রুয়ারি বেনাচিতির ভিড়িঙ্গিতে সোনার গয়না বন্ধক রেখে ঋণ দেওয়া এক বেসরকারি আর্থিক সংস্থায় দুপুর সওয়া তিনটে নাগাদ ডাকাতি হয়। পুলিশ জানায়, ভিতরে তখন গ্রাহকদের ভিড়। আচমকা ওই দুষ্কৃতীদলটি ভল্ট খুলে সোনার গয়না, কয়েন, টাকা ভরে চম্পট দেয়। নিয়ে যায় সিসিটিভি যন্ত্রটিও। সংস্থার দাবি, লুঠ হওয়া সোনার বাজারমূল্য হিসেব করে দেখা যায়, তা প্রায় ১২ কোটি টাকা। সঙ্গে লুঠ হয় প্রায় ১১ লক্ষ টাকা নগদ। সিআইডি-র সহযোগিতায় আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত শুরু করে। ঘটনার তিন দিন পরে ঝাড়খণ্ডের বারোয়াড্ডায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় সোনা, নগদ টাকা, বৈদ্যুতিন বেশ কিছু জিনিসপত্র।
এই ঘটনায় মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। সংশোধনাগারে মৃত্যু হয় এক অভিযুক্তের। মামলার শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারক বাকি দশ জনের মধ্যে দু’জন মহিলা-সহ মোট চার জনকে বেকসুর খালাস করে দেন। দশরথ মাহাতো, উত্তম মাহাতো, বাবু রাজ ওরফে সিদ্ধান্ত সিংহ, রঞ্জিতকুমার গিরি, সুবোধ মাহাতো ও নন্দলাল মাহাতো নামে ছ’জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। শুক্রবার বিচারক লুঠের মামলায় ছ’জনকেই ১৪ বছর ও শেষ দু’জনকে অস্ত্র মামলায় আরও অতিরিক্ত সাত বছরের সশ্রম কারাবাসের নির্দেশ দেন। প্রত্যেককেই ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবীদের সূত্রে জানা যায়, দশরথকে বর্ধমান, উত্তমকে বাঁকুড়া, সিদ্ধান্তকে সিউড়ি, রঞ্জিত ও নন্দলালকে দুর্গাপুর ও সুবোধকে বোলপুর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আসামী পক্ষের আইনজীবী বীরেন্দ্র পাঠক জানান, এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে আবেদন জানাবেন। তাঁর দাবি, শেষ দু’জনের নামে অস্ত্র আইনের ধারা দেওয়া হলেও পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy