Advertisement
E-Paper

নতুন প্রজন্মকে টানতে সিপিএমের ফেসবুক পেজ

জেলার নেতারা জানিয়েছেন, ইতিপূর্বে অবিভক্ত বর্ধমান জেলা কমিটি এই নিয়ে উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু জেলা ভাগের পরে নতুন পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মত আদান-প্রদানের সুযোগ পাচ্ছিল না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:১১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

দলের মতাদর্শ ও কর্মসূচিকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে এবং নতুন প্রজন্মকে কাছে টানার পাশাপাশি দলের মতামত গ্রহণ করাটাও আজকের দিনে অত্যন্ত জরুরি। এই উপলব্ধি থেকেই শিল্পাঞ্চলের সিপিএম নেতৃত্ব সোশ্যাল মিডিয়াকেই এখন পাখির চোখ করছেন। তাই পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির উদ্যোগে দলের একটি ‘ফেসবুক পেজ’ খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর আসানসোলে এসে নতূন এই ফেসবুক পেজের উদ্ধোধন করবেন সিপিএমর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। এমনটাই জানিয়েছেন সিপিএমরে জেলা নেতৃত্ব।

জেলার নেতারা জানিয়েছেন, ইতিপূর্বে অবিভক্ত বর্ধমান জেলা কমিটি এই নিয়ে উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু জেলা ভাগের পরে নতুন পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মত আদান-প্রদানের সুযোগ পাচ্ছিল না। স্বভাবতই সেই অভাব দূর করতে নতুন এই ফেসবুক পেজটি খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের দায়িত্বে থাকা এক জেলা নেতা জানিয়েছেন, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তারপরই শুরু হয়ে যাবে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি। এই দুই ভোটকে সামনে রেখে দলের জেলা কমিটি একাধিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। প্রচারের জন্য এ সব কর্মসূচিকে ‘তৃণমূল’ স্তরে পৌঁছে দেওয়াই ফেসবুক পেজের মূল লক্ষ্য। একই সঙ্গে কর্মসূচিগুলি জনসাধারণের মধ্যে কতটা জনপ্রিয় হল পাঠকের মতামত থেকে জানা যাবে। ওই নেতার কথায়, সম্প্রতি দুর্গাপুর পুরোভোটে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে ‘প্রহসন’ ও শাসকদলের ‘তাণ্ডবের’ ঘটনা প্রায় কিছুই প্রকাশ্যে আসেনি। তাঁদের আশঙ্কা, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটেও ঠিক এই কায়দায় ভোট করানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে শাসক পক্ষ। স্বভাবতই আগে ভাগে এ সব তথ্য সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে এই ফেসবুক পেজ।

এই পেজের দায়িত্বে থাকা অন্যতম জেলা নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘১৮ ডিসেম্বর আসানসোলে এসে আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাক সীতারাম ইয়েচুরি নতুন এই ফেসবুক পেজের উদ্বোধন করবেন।’’ পার্থবাবু জানিয়েছেন, দলের মতাদর্শ ও কর্মসূচিকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই এই ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, জেলা নেতারা মনে করেছেন, আজকের দিনে নতুন প্রজন্মের মধ্যে পার্টির জনপ্রিয়তাকে আরও বাড়াতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দল খুব সহজেই এই লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারবে। কারণ, এই প্রজন্মের প্রায় সকলেই ফেসবুকের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন।

পার্থবাবু বলেন, ‘‘এতে শুধু নিজেদের কর্মসূচি বা মতাদর্শই প্রচার হবে না, নতুন প্রজন্মের মতামতও জানা যাবে। যা দলের কাজেও লাগতে পারে।’’ তবে এই উদ্যোগ কতটা সফল হল তা সময়ই বলবে বলে মত, নেতৃত্বের একাংশের।

সিপিএম CPIM
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy