Advertisement
E-Paper

নতুন বছরে জলকষ্ট মিটবে, দাবি কালনায়

প্রতি গ্রীষ্মেই জলকষ্টে ভোগে কালনার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড। সঙ্গে থাকে অপরিশোধিত পানীয় জল মেলার অভিযোগ। তবে এ বছর আর সেই সমস্যা থাকবে বলে দাবি করছেন পুরকর্তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৫২

প্রতি গ্রীষ্মেই জলকষ্টে ভোগে কালনার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড। সঙ্গে থাকে অপরিশোধিত পানীয় জল মেলার অভিযোগ। তবে এ বছর আর সেই সমস্যা থাকবে বলে দাবি করছেন পুরকর্তারা। কালনার পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগের দাবি, মার্চ থেকেই বাড়িতে বিশুদ্ধ জল পৌঁছে দেওয়া হবে। ভাগীরথীর জল পরিস্রুত করে এই চাহিদা মেটানো হবে।

কালনার ১৮টি ওয়ার্ডে ষোলো হাজারেরো বেশি পরিবার রয়েছে। ২০১৩ সালের শেষ দিকে ভাগীরথীর জল শোধন করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ করে পুরসভা। প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে শুরু হয় কাজ। ভাগীরথীর যেখানে গভীরতা বেশি, তেমন একটি জায়গা জল তোলার জন্য চিহ্নিত করা হয়। রাস্তা খুঁড়ে বসানো হয় পাইপ লাইন। শহরের পুরনো বাসস্ট্যান্ড এবং লক্ষণপাড়ায় জলাধারও তৈরি হয়। পুরসভার দাবি, ইতিমধ্যেই শহরের বাসিন্দাদের নতুন সংযোগ পেতে পুরসভা থেকে ফর্ম নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পরিবার পিছু ৫০০ টাকা লাগবে তাতে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ফর্ম দেওয়া হবে। পুরসভার দাবি, ভাগীরথীর জল বাড়ি বাড়ি বিলি করা শুরু হলে শহরের জল স্তরের উন্নতি হবে। সম্পূর্ণ আর্সেনিক মুক্ত জল হওয়ায় রোগ ছড়ানোরও আশঙ্কা থাকবে না। পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ জানান, জল প্রকল্পের কাজ ৯০ শতাংশেরও বেশি এগিয়েছে। মার্চ থেকেই শহরবাসীরা জল পাবেন। তাঁর দাবি, প্রতিটি পরিবারে সংযোগের সঙ্গে একটি করে মিটার দেওয়া হবে। কত জল মিলছে তা ধরা হবে তাতে। ফলে জল নষ্টও হবে না। তিনি বলেন, ‘‘নতুন প্রকল্পের জন্য পরিবার পিছু ১৮ হাজার টাকা খরচ রয়েছে। পুরসভা অবশ্য একবারই পাঁচশো টাকা নেবে।’’ তবে নতুন প্রকল্পে দিনে কত ঘণ্টা দল মিলবে, পরিমাণ কত তা কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করে ঠিক হবে বলেও তাঁর দাবি।

water crisis
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy