তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ডালিম শেখ খুনের ঘটনায় ধৃত মোসাম্মদ শেখ ওরফে ইছাইকে হেফাজতে নিল সিআইডি। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের ঠিক পরেই পূর্বস্থলীর খড়দত্তপাড়া থেকে মোসাম্মদ শেখ ও কাটোয়ার নতুনগ্রাম থেকে কবীর হোসেন নামে দু’জনকে ধরা হয়। কবীরকে শনিবারই সিআইডি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল।
সম্প্রতি মঙ্গলকোটের নিগন বাসস্ট্যান্ডের কাছে গুলিতে খুন হন তৃণমূলের শিমুলিয়ার নেতা সানাউল্লা শেখ ওরফে ডালিম। পরিবারের অভিযোগ, দলের লোকেরাই মেরেছে তাঁকে। স্থানীয় বিধায়কের ভাই রহমতুল্লা চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য বিকাশ চৌধুরী-সহ ১৫ জনের নামে অভিযোগও হয়। মুখ্যমন্ত্রী জেলায় মঙ্গলকোটের পরিস্থিতি সামলানোর কথাও বলেন। এরপরেই ২৭শে জুন এই মামলার তদন্তভার নেয় সিআইডি।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন মাস আগেই খুনের ‘ব্লু প্রিন্ট’ তৈরি করে ফেলেছিল দুষ্কৃতীরা। শিমুলিয়ার তিন বাসিন্দা রাজু শেখ, বাবর শেখ ও ডাবলু ছ’লক্ষ টাকার বিনিময়ে কবীরকে খুনের বরাত দেয় বলেও জেরায় জেনেছেন সিআইডি কর্তারা। তাঁদের দাবি, ঘটনার আগে দু’লক্ষ টাকা দেওয়া হয় কবীরকে। সে আবার গড়াগাছা, খড়দত্তপাড়া ও মন্তেশ্বরের ছ’জনকে খুনের বরাত দেয়। ঘটনার আগে রীতিমতো ঘুরিয়ে এলাকা ও ডালিম শেখকে চিনিয়েও দেয় কবীর। সিআইডি সূত্রের দাবি, খুনের বরাত দেওয়ার সঙ্গে কবীর অস্ত্রও সরবরাহ করেছিল মোসাম্মদকে। খুনে ব্যবহৃত সেই গুলি নেওয়া হয় করুই গ্রামের সমীর শেখের কাছ থেকে। সমীর বর্তমানে একটি অন্য মামলায় কালনার সংশোধনাগারে আছেন। এ দিন খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার ও অন্য জড়িতদের ধরার জন্য মোসাম্মদকে ১০ দিনের হেফাজতে চায় সিআইডি। তবে আট দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। সোমবার ধৃতের টিআই প্যারেড হয়েছিল।