এই এলাকায় মেলে দেহ। নিজস্ব চিত্র papan.news@gmail.com
উৎসব উপলক্ষে বাড়িতে অতিথিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। শনিবার থেকে বাড়িতে লোকজন আনাগোনার কথা ছিল। কিন্তু যাঁর উদ্যোগে আয়োজন, তিনিই আচমকা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় উৎসবের আবহে ভাটা পড়েছিল। রবিবার দুপুরে বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে মহম্মদ নাসিম ওরফে মুন্না (৩৮) নামে আসানসোলের রেলপারের ওই যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মৃতের তিন বন্ধুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের পরিজনেরা তাদের জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার সকালে তিন বন্ধু মহম্মদ ইস্তেখার, মহম্মদ জাভেদ ও মহম্মদ ইরফানের সঙ্গে বারাবনির লালগঞ্জের পশু হাটে গিয়েছিলেন মহম্মদ নাসিম। উৎসব উপলক্ষে পশু কিনে আনা ছিল উদ্দেশ্য। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যেরা খোঁজ শুরু করেন। হদিস না পেয়ে আসানসোল উত্তর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। যে তিন বন্ধুর সঙ্গে নাসিম বেরিয়েছিলেন তাঁদের নাম পুলিশকে পরিবারের তরফে জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, তদন্তে নেমে রবিবার দুপুরে আসানসোল উত্তর থানার গৌরান্ডির চাকডোবা এলাকায় জঙ্গলে ঘেরা একটি পরিত্যক্ত জায়গায় মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করা হয়। রবিবারই আসানসোল জেলা হাসপাতালে দেহ ময়না-তদন্ত করা হয়েছে। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আসানসোলের সিজেএম আদালতে তোলা হলে ধৃতদের ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়।
পুলিশের দাবি, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা জেনেছে, মঙ্গলবার বিকেলে পশুহাট থেকে ফেরার পথে চার জনই মত্ত অবস্থায় ছিলেন। নিজেদের মধ্যে কথা বচসা বাধে। তখনই নাসিমের মৃত্যু হয়। চাকডোবার ওই পরিত্যক্ত এলাকায় মাটি খুঁড়ে তাঁর দেহ পুঁতে রেখে তিন জন পালিয়ে যান। রবিবার দেহ উদ্ধারের পরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সোমবার উৎসবের জৌলুস ছিল না বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। পুলিশ জানায়, ঠিক কী ভাবে নাসিমের মৃত্যু হল, তার তদন্ত হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy