সামনেই দুর্গাপুজো। শহর জুড়ে তৈরি হচ্ছে বড় বড় মণ্ডপ। কিন্তু শহরের অধিকাংশ রাস্তার হাল দেখে কপালে চিন্তার ভাঁজ দুর্গাপুরবাসীর। পুজোর আগে রাস্তাগুলির সংস্কার না হলে রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে বিপাকে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের। অবিলম্বে রাস্তাগুলি মেরামতের দাবিতে মঙ্গলবার সিপিএমের একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি জমা দিল দুর্গাপুর পুরসভায়।
ডিএসপি টাউনশিপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ছাড়া শহরের বেশিরভাগ রাস্তাই বেহাল। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের অন্যতম রাস্তা হল মুচিপাড়া থেকে স্টেশন হয়ে বাঁকুড়া যাওয়ার রাস্তাটি। সেই রাস্তার বহু জায়গায় পিচ উঠে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। একই হাল শ্যামপুর, নডিহা, রায়ডাঙা, বীরভানপুরের মতো এলাকার ভিতরের রাস্তাগুলির। খন্দে ভরে গিয়েছে ফুলঝোড়, অমরাবতী লাগোয়া রাস্তা, ক্ষুদিরাম সরণি, লেনিন সরণি, বিধাননগরের হাডকো, বেথুন সরণি।
ডিএসপি টাউনশিপের বাসিন্দাদের অভিযোগ, কর্মসূত্রে বহু মানুষকে বরফ কলের সামনের রাস্তা দিয়ে গিয়ে ডিএসপি-র রাস্তায় উঠতে হয়। কিন্তু বরফ কলের সামনের বেহাল রাস্তায় প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। ভগৎ সিংহ মোড় থেকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তার হালও খুব খারাপ বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। সংস্কারের অভাবে সিটি সেন্টার থেকে কবিগুরু যাওয়ার রাস্তা, কবিগুরু রোডেরও বিভিন্ন জায়গায় পিচ উঠে বিপজ্জনক খন্দ তৈরি হয়েছে।
বাসিন্দাদের আশঙ্কা, দুর্গাপুজোর আগে শহরের এই বেহাল রাস্তাগুলির সংস্কার না হলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে শহরবাসীকে। সমস্যায় পড়তে হবে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঠাকুর দেখতে আসা লোকজনকেও। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত প্রবল ভিড়ে ভরা রাস্তায় খন্দের কারণে বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা দুর্গাপুরবাসীর। সিপিএমের প্রতিনিধি দলের তরফে পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা সংস্কার হয়নি। তার জেরে বিপাকে পড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। পুরসভার তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, পুজোর আগে শহরের বেহাল রাস্তাগুলির সংস্কার করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy