প্রতীকী ছবি।
অ্যাকাউন্ট নম্বরের সমস্যার জন্য প্রায় এক বছর ধরে স্কলারশিপের টাকা পাচ্ছিল শম্পা মালিক। বারবার সংশ্লিষ্ট দফতরে যোগাযোগ করেও সুরাহা মেলেনি। হাতের কাছে জেলাশাসককে পেয়ে তার মা সে কথা জানাতেন, শোকজের মুখে পড়লেন দফতরের আধিকারিক। সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হল, বাড়িতে শম্পার বাড়িতে গিয়ে সমস্যা মেটানোর। মঙ্গলবার রাতে মেমারির পাল্লা রোডের পল্লীমঙ্গল সমিতির মাঠে হাতের কাছে প্রশাসনের কর্তাদের বিভিন্ন অভিযোগ, সমস্যার কথা জানালেন দলুইবাজার ১ ও ২ নম্বর পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা।
মেমারি ১ পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে এ দিন সন্ধ্যায় দলুইবাজার ১ ও ২ পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় কয়েক হাজার বাসিন্দার মুখোমুখি হন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন, জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু ও বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা। সেখানে তাঁরা বিভিন্ন এলাকার মানুষের সমস্যার কথা শোনেন ও সেগুলি মেটাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেন। এ দিনের সভায় কলানবগ্রামের বাসিন্দা প্রহ্লাদ ঘোষ পাল্লা রোড থেকে বড়শুল পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার ও বাস চলাচলের উপযুক্ত করার দাবি জানান। জেলাশাসক বিভাগীয় আধিকারিককে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেন। বাসিন্দাদের দাবি মেনে বালির গাড়ি চলাচলে নিয়ন্ত্রণ ও স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেন প্রশাসনের কর্তারা। এলাকার সবুজায়ন ও দমোদরের চরে পিকনিক স্পট গড়ে তোলার বিষয়েও প্রশাসন উদ্যোগী হবে বলে এ দিন আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
পাল্লা ক্যাম্পের বাসিন্দা ননীগোপাল বিশ্বাস অভিযোগ করেন, বালির গাড়ি চলাচলের জেরে রাস্তা বেহাল। এলাকার পড়ুয়াদের সেই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতে হয়। বেহাল রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান তিনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন জেলাশাসক। স্থানীয় বাসিন্দা মহাদেব পাল দলুইবাজার শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের পাশে তাকা বৈধ মদের দোকানটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানান। বেলুট জুনিয়ার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেন, ভাঙা পাঁচিল দিয়ে ঢুকে রাতে স্কুলের ভিতরে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে। তা শুনে বিডিও় শৈলশেখর রায়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন সৌমিত্রবাবু।
টাকার আকাল
উলোরা, মামদপুর, রাজপুর-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বিধবা মহিলারা অভিযোগ করেন, বিপিএল তালিকাভুক্ত না হওয়ায় সরকারি ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিলে বিপিএল তালিকায় নাম না থাকলেও তাঁরা ভাতা পেতে পারেন বলে জানানো হয়েছে। এ ভাবেই সভায় বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগগুলি শোনেন প্রশাসনের কর্তারা। সভাধিপতি দেবু টুডু জানান, মানুষকে আর পরিষেবার জন্য কোথাও যেতে হবে না। জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, পঞ্চায়েত মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy