খোদ বিধায়কের পাশে সদ্য জেল থেকে জামিনে মুক্ত হওয়া অভিযুক্ত! ঘটনায় বির্তক তৈরি হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। যদিও বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডারের যুক্তি, একটি ক্রিকেট প্রতিযোগিতার অন্তিম পর্বের খেলা উপলক্ষে আয়োজকদের অনুরোধে অতিথি হিসাবে গিয়েছিলেন তিনি। বাকিরা কে কে আসবেন, জানা ছিল না তাঁর। তবে বিতর্ক থামছে না।
আরও পড়ুন:
সদ্য জেল থেকে ছাড়া পাওয়া ওই অভিযুক্ত হলেন আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি আহমেদ সামস তাবরিজ ওরফে অরূপ মৃধা। রবিবার গুসকরা পিপি ইনস্টিটিউশনের একটি অনুষ্ঠানে আউশগ্রামের বিধায়কের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছে তাঁকে। গত ২৩ এপ্রিল বিডিও অফিসের ভিতরে অশান্তি ও মারধরের ঘটনায় অরূপ-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ওই ঘটনার পরেই আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বিডিও চিন্ময় দাস পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে অরূপ, আসরুল হক মণ্ডল ওরফে হীরা এবং সুকুর সেখকে গ্রেফতার করা হয়। সদ্য জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন তাঁরা। অরূপ এলাকার বিধায়ক অভেদানন্দের অনুগামী বলেই পরিচিত। তাই ঘটনার কয়েক দিনের মাথায় প্রকাশ্য সভায় বিধায়কের পাশে তাঁকে বসে থাকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে বিধায়ক বলেন, ‘‘একটি ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনালে আয়োজকদের ডাকে অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলাম। সেখানে মঞ্চে আর কে উপস্থিত থাকবেন, তা তো আমার জানার কথা নয়।’’ তবে এই যুক্তিতে চিঁড়ে ভেজেনি। বিডিও অফিসে অশান্তির ঘটনায় খোদ তৃণমূল বিধায়কের সমর্থন ছিল কি না, এই মর্মেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন:
গত ২২ এপ্রিল অরূপ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে বিডিও অফিস চত্বরে সিডিপিওর কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পছন্দমতো জায়গায় বদলি করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওই স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর অরূপ তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে বিডিওর ঘরে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন ভাল্কি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাদেরুল সেখ এবং আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূলের আহ্বায়ক সুমন ঘোষ। যখন অরূপ বিডিওর সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন সুমন তাঁর মোবাইল ক্যামেরায় কথোপকথনের ছবি তুলতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। সেটি অরূপের অনুগামীদের নজরে পড়তেই তাঁরা বিডিওর চেম্বারের মধ্যেই সুমনকে মারধর করতে শুরু করে দেন। সাদেরুল তাঁকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও বেধড়ক মারা হয় বলে অভিযোগ। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে অফিসের অন্যান্য কর্মীরা ছুটে এলে অনুগামীদের নিয়ে বেরিয়ে যান অরূপ। এর পরেই বিডিওর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অরূপকে গ্রেফতার করে।