দখল: কালনায় এসটিকেকে রোডের ধার দখল করে চলছে দোকান। নিজস্ব চিত্র
ফের জো়ড়া দুর্ঘটনা ঘটল এসটিকেকে রোডে।
সোমবার সাতসকালে কালনা শহরে নিউ লাইফ নার্সিংহোমের সামনে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় রমেশ বালা (৫৫) নামে এক প্রৌঢ়ের। তাঁর বাড়ি কালনা ২ ব্লকের পূর্বসাতগাছিয়া পঞ্চায়েতের শাসপুর পূর্ণলক্ষ্মীতলা এলাকায়। কিছুটা দূরে নন্দগ্রামের কাছে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় জখম হন স্থানীয় মহম্মদ ফারুক মণ্ডল নামে কালনা আদালতের এক আইনজীবীও। পরে বেপরোয়া গাড়ি চলাচলে পরপর দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ জানিয়ে মহকুমাশাসককে স্মারকলিপি দেন ৩২ জন আইনজীবী। প্রশাসনের কাছে কড়া পদক্ষেপ করারও আর্জি জানান তাঁরা।
দিন চারেক আগে নন্দগ্রাম এলাকাতেই নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি ট্রাক্টর পিষে দিয়েছিল স্থানীয় এক আইসক্রিম বিক্রেতাকে। ধাক্কা মারে পথচারীদেরও। তার রেশ কাটার আগেই এ দিন সকালে ফের একটি ম্যাটাডোর ধাক্কা মারে দিনমজুর রমেশবাবুকে। পুলিশ জানায়, সকাল সাতটা নাগাদ সাইকেল নিয়ে নার্সিংহোমের পাশ দিয়ে কাজে যাচ্ছিলেন রমেশবাবু। আচমকা দ্রুত বেগে আসা ম্যাটাডরটি পিষে দেয় তাঁকে। মিনিট কুড়িরও বেশি সময় ধরে চাকায় আটকে ছিলেন তিনি। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা অন্য একটি গাড়ি থামিয়ে তার যন্ত্রাংশ দিয়ে চাকা খুলে উদ্ধার করেন তাঁকে। তবে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মারা যান তিনি। মৃতের এক আত্মীয় জগদীশ বাইনের দাবি, ‘‘ধাক্কা মেরেই চালক পালায়। আরও আগে উদ্ধার করা গেলে হয়তো রমেশকে মরতে হতো না। পুলিশ ওই চালককে দ্রুত গ্রেফতার করুক।’’ ফারুক মণ্ডলও এ দিন বর্ধমান থেকে কালনা আসছিলেন মোটরবাইকে। আইনজীবীরা জানান, নন্দগ্রাম এলাকায় একটি বাঁকের মুখে ওই বাসটি ধাক্কা মারলে ছিটকে পড়েন তিনি। মাথায় চোট পান। আপাতত কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি দিয়ে দিনরাত গাড়ি চলাচল করে। অথচ রাস্তার পাশে বেআইনি দখলে রাস্তা অনেকটাই সরু হয়ে গিয়েছে। এমনকী, তেঁতুলতলা, বৈদ্যপুর মোড়, নতুন বাসস্ট্যান্ড, মহকুমা হাসপাতাল চত্বরের মতো জনবহুল এলাকায় ফুটপাথ বলে কিছুই নেই। যতদিন যাচ্ছে দখলদারি বাড়ছে বলেও তাঁদের দাবি। এমনকী, প্রশাসনের তরফে ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে উদ্যোগ নেই বলেও তাঁদের অভিযোগ।
এ দিন মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া যদিও আশ্বাস দেন, এসটিকেকে রোডের দু’ধার বেআইনি দখলমুক্ত করতে আলোচনা শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনা কমাতেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy