দুর্গাপুরের বাসিন্দা সুচেতা চক্রবর্তী ও তাঁর শিশুকন্যা দীপাঞ্জনাকে খুনের মামলায় বুধবার শ্রীরামপুর আদালতে সাক্ষ্য দিলেন গাড়িচালক শেখ নিয়াজুদ্দিন।
গত বছরের অগস্টে সমরেশ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্গাপুরের বিধাননগরে ওই দু’জনকে খুেনর অভিযোগ ওঠে। সুচেতার দেহ তিন টুকরো করে তিনটি ব্যাগে ও দীপাঞ্জনার দেহ অন্য একটিতে ভরে শেওড়াফুলির কাছে ভুটভুটি থেকে গঙ্গায় ফেলার চেষ্টা করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। দুর্গাপুর থেকে বর্ধমান পর্যন্ত তিনি চারটি ব্যাগ নিয়ে নিয়াজুদ্দিনের গাড়িতে এসেছিলেন বলে অভিযোগ।
এ দিন সরকারি আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্নে নিয়াজুদ্দিন জানান, সমরেশ তাঁকে কলকাতায় পৌঁছতে বলেন। তিনি রাজি হননি। বর্ধমান স্টেশন পর্যন্ত ১২০০ টাকা ভাড়ায় চারটি ব্যাগ-সহ সমরেশকে পৌঁছে দেন তিনি। সেখান থেকে অন্য একটি গাড়ি ভাড়া করেন সমরেশ। আদালতে সমরেশকে চিহ্নিত করেন নিয়াজুদ্দিন। যে তিনটি ব্যাগে মা-মেয়ের দেহাংশ মেলে, সেগুলি আদালতে হাজির করে পুলিশ। নিয়াজুদ্দিন জানান, মেরুন রঙের ট্রলিব্যাগটি ভারী থাকায় সেটি গাড়িতে তুলতে সমরেশকে সাহায্য করতে হয়েছিল তাঁকে। পুলিশের বক্তব্য, অন্য একটি ব্যাগে সুচেতার মাথা ছিল। সেটি এখনও মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy