জগদীশ সিংহ। নিজস্ব চিত্র
হোটেলে অভিযান চালিয়ে মাদকপাচারকারী সন্দেহে পঞ্জাবের এক যুবক ও দুই তরুণীকে পাকড়াও করেছিল পুলিশ ও সিআইডি-র দল। কিন্তু কাঁকসার পানাগড়ের ওই ঘটনায় চম্পট দেয় এক ব্যক্তি। পঞ্জাব পুলিশের দাবি, যে ব্যক্তি পালিয়ে গিয়েছিল, তার নামে পঞ্জাবে বহু অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ধৃতদের বুধবার ফের দুর্গাপুর আদালতে তোলা হয়। দুই তরুণীকে জামিন দিলেও অভিযুক্ত যুবককে সাত দিন জেল-হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ ও সিআইডি সূত্রে জানা যায়, মাদক পাচারের খবর পেয়ে গত ২০ নভেম্বর রাতে পানাগড়ের ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে ধরা হয় পঞ্জাবের বাসিন্দা জগদীশ সিংহ, হরপ্রীত কৌর, মনপ্রীত কৌরকে। তাদের কাছ থেকে মাদক মেলেনি। তবে একটি নাইন এমএম পিস্তল মিলেছিল বলে পুলিশের দাবি। কিন্তু ওই অভিযান চলাকালীন তরণপ্রীত সিংহ আহলুওয়ালিয়া নামে এক জন হোটেলের ছাদ থেকে ঝাঁপ মেরে চম্পট দেয়।
ধৃতদের হেফাজতে নেয় সিআইডি। সিআইডি সূত্রে জানা যায়, ওই চার জনের দলটির বিরুদ্ধেই মাদক পাচার-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে পঞ্জাবের বিভিন্ন থানায়। সোমবার এক মহিলা অফিসার-সহ পঞ্জাব পুলিশের পাঁচ জনের একটি দল দুর্গাপুরে আসে। ধৃত তিন জনকে জেরা করে পলাতক তরণপ্রীতের হদিস জানার চেষ্টা করে দলটি।
সিআইডি জানায়, তদন্তে নেমে জগদীশের কাছ থেকে বেশ কিছু চালু সিমকার্ড মিলেছে। আরও দাবি, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, পানাগড়ে মাদকপাচারকারীদের কোনও সহযোগী রয়েছে। ওই সহযোগী মাদক পাচারে নানা ভাবে সাহায্য করে বলে পুলিশের দাবি। সিআইডি জানায়, এই ঘটনার আগেও ওই ‘সহযোগী’র কাছে বেশ কয়েকবার এসেছিল ওই চার জনের দলটি। এলাকাগত বিশেষ কারণের সুবিধা নিয়ে ওই ব্যক্তি পানাগড়েই পরিচয় গোপন করে রয়েছে বলে তদন্তকারীদের অনুমান। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
এ দিন পঞ্জাব পুলিশ জানায়, ওই রাজ্যের নানা থানায় তরণপ্রীতের নামে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, খুন-সহ বহু অভিযোগ রয়েছে। সিআইডি-র একটি সূত্রের দাবি, তরণপ্রীত দুর্গাপুরেই রয়েছে। তার মোবাইল অনুসরণ করে সিটি সেন্টারের একটি চক্ষু হাসপাতালের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল সিআইডি। তবে তার নাগাল পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy