অবৈধ ভাবে গজিয়ে ওঠা পানশালা, হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধে অভিযান শুরু করল আসানসোল পুরসভা। বৃহস্পতিবার শহরের একটি শপিংমলে বেআইনি ডান্স বারে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আসানসোল সিটি বাসস্ট্যান্ডের বেশ কিছু বেআইনি হোটেলও। পুর এলাকার সর্বত্র লাগাতার এই অভিযান চলবে বলে জানান মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়রি।
আসানসোল শহরে নানা জায়গায় অবৈধ পানশালা, রেস্তোরাঁ ও হোটেল গড়ে ওঠার অভিযোগ অনেক দিনের। কিন্তু পুর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সে সব এত দিন রমরমিয়েই চলেছে। পুরসভা সূত্রে খবর, সম্প্রতি মেয়রের দফতরে ফের একগুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়ে। তার পরেই নড়েচড়ে বসেন পুর কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে আসানসোলের কল্যাণপুরে একটি শপিংমলে ওই ডান্স বারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। মেয়র বলেন, ‘‘আমরা নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে দেখেছি, এই বারটি অনুমতি ছাড়াই চলছিল। তাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’’
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ওই পানশালায় গিয়ে কর্তব্যরত ম্যানেজারের কাছে পুরসভার কর্তারা অনুমতি সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র দেখতে চান। তাঁরা ওই ম্যানেজারকে এক ঘণ্টা সময়ও দেন। কিন্তু তাঁরা তেমন কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এর পরেই সমস্ত কর্মীকে বের করে সেখানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পুরসভা সূত্রে জানা যায়, বছর দুই আগে সেখানে একটি রেস্তোরাঁর জন্য ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে তা আর পুনর্নবীকরণ করা হয়নি।
অনুমতি ছাড়াই কী ভাবে তাঁরা বার চালাচ্ছিলেন, সে ব্যাপারে সেখানকার কেউ কোনও কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে পুরসভার একাংশের দাবি, ক্ষমতাসীন দলের জনা কয়েক কাউন্সিলরের মদতেই এই ব্যবসা চলেছে। মেয়র এ দিন বলেন, ‘‘পুরসভা কোনও ভাবেই এই ধরনের ব্যবসা চালানোর অনুমতি দেবে না।’’
আসানসোল সিটি বাসস্ট্যান্ডের উন্নয়ন কমিটি ভেঙে দেওয়ার পরে সেখানকার খোলনলচে বদলে ফেলার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে জানান মেয়র জিতেন্দ্রবাবু। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রথম থেকেই বাসস্ট্যান্ডে ভাটি বা উনুন জ্বালিয়ে রান্নার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তা এত দিন উপেক্ষিত হয়েছে। উন্নয়ন কমিটি ভাঙার পরে পুরসভা অবৈধ হোটেলগুলি বন্ধ করেছে। মেয়র জানান, শুধু আসানসোল সিটি বাসস্ট্যান্ড নয়, বরাকর, রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়ার বাসস্ট্যান্ডগুলিতেও খোলনলচে বদলে যাত্রীদের ব্যবহারেক উপযুক্ত করা হবে।