Advertisement
E-Paper

সুরক্ষায় গাফিলতি, শো-কজ কারখানাকে

আগুন লাগার পরে দমকল জানতে পারল বর্ধমানের পালিতপুরে ফেরো অ্যালয় কারখানায় অগ্নি সুরক্ষার কোনও বালাই ছিল না। ফলে কারখানা কর্তৃপক্ষকে শো-কজ করতে চলেছেন দমকলের কর্তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৬ ০২:০১
শুক্রবারেও খোলেনি কারখানা।নিজস্ব চিত্র।

শুক্রবারেও খোলেনি কারখানা।নিজস্ব চিত্র।

আগুন লাগার পরে দমকল জানতে পারল বর্ধমানের পালিতপুরে ফেরো অ্যালয় কারখানায় অগ্নি সুরক্ষার কোনও বালাই ছিল না। ফলে কারখানা কর্তৃপক্ষকে শো-কজ করতে চলেছেন দমকলের কর্তারা।

শুক্রবার দমকলের বিভাগীয় আধিকারিক (দুর্গাপুর) তুষারকান্তি সেন বলেন, “কারখানা কর্তৃপক্ষকে প্রথম ধাপে শো-কজ করা হচ্ছে। অগ্নি নির্বাপণের কী কী ব্যবস্থা ছিল কারখানায়, সেই সমস্ত নথি সহ শো-কজের জবাব-সহ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই জবাবে আমরা সন্তুষ্ট না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বৃহস্পতিবার বিকেলে পালিতপুরে ওই কারখানায় ট্রান্সফর্মার ফেটে আগুন ধরে যায়। আগুন ছিটকে পুড়ে যায় পাশের ট্রান্সফর্মারও। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে কারখানার ভিতরের অনেকটা অংশ। তবে বিপদ বুঝে সঠিক সময়ে কর্মীরা কারখানা ছেড়ে চলে আসায় কোনও হতাহত হয়নি। ঘটনার পর দমকলের সাতটি ইঞ্জিন গিয়ে প্রায় চার ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এ দিন দুপুরে কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, মূল দরজা বন্ধ রয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীরা বহিরাগতদের ঢুকতে দিচ্ছেন না। কারখানার শ্রমিকরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন চারটে চুল্লিতে ১০০ টন লোহা গলানো হতো। বৃহস্পতিবার রাতে দুর্ঘটনার পরে দুটি চুল্লি একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাকি দুটি চুল্লি তৈরি হতে আরও দু’দিন সময় লাগবে।

সংস্থার সিনিয়র কমার্শিয়াল ম্যানেজার রাজপতি দ্বিবেদী গাফিলতি মেনে নিয়ে বলে, “প্রাথমিক স্তরে অগ্নি সুরক্ষার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু এ রকম ভয়াবহ আগুন নেভানোর পরিকাঠামো আমাদের ছিল না। দমকল ও প্রশাসন আমাদের বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে, সেই সব পরামর্শ যথাযথভাবে মেনে চলব।”

Factory show-cause security
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy