ধান, আলুর মতো গতানুগতিক চাষে লাভের নিশ্চয়তা নেই। তুলনায় বাজারে ভাল কদর রয়েছে মাশরুমের। সেই লাভ ঘরে তুলতে গলসি ১ কৃষি দফতরের উদ্যোগে মানকর ও শিড়রাই গ্রামে শুরু হয়েছে মাশরুম চাষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় বাড়ির ভিতরে মাশরুম চাষ হলেও গলসি ১ ব্লকে সে ভাবে মাশরুম চাষ করা হয়নি। এমনকী কিছু দিন আগে প্রথম বার কৃষি দফতর এই বিকল্প চাষ শুরু করলেও তা সফল হয়নি নানা কারণে। এ বার তাই শুরুতেই মাশরুম চাষ যে লাভজনক, তা বেশ কিছু দিন ধরে চাষিদের বোঝান বিশেষজ্ঞরা। ‘আত্মা’ প্রকল্পে মাশরুম চাষ শুরু হয়। তার জন্য কয়েক জন চাষিকে নিয়ে শুরু প্রশিক্ষণ শিবির। এই চাষের সাফল্য কতখানি, তা বোঝাতে বীরভূমের বোলপুর থেকে নিয়ে আসা হয়েছে এক মাশরুম ব্যবসায়ীকে।
কী ভাবে শুরু হয়ে চাষ? কৃষি দফতর সূত্রে জানা হয়, মাশরুম চাষের প্রথম পদক্ষেপ হল, খড়কে ছোট ছোট করে কেটে তা একটি পাত্রে রেখে জলে ভিজিয়ে রাখতে হয় এক রাত। সেই পাত্রে কিছু বিশেষ রাসায়নিক দিতে হয়, যাতে খড়ের মধ্যে থাকা জীবাণু নষ্ট হয়ে যায়। এর পরে খড় শুকিয়ে বিভিন্ন ধাপে সাজিয়ে তার পাশে মাশরুমের বীজ রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চাষিরা জানান, মাশরুম চাষের জন্য দরকার ছায়াযুক্ত জায়গা। দুই গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চাষ হয়েছে ঘরের ভিতরের কোনও অংশে। লাভের আশায় এ বার উৎসাহী চাষিরাও।
মানকরের মাড়ো গ্রামের সাদ্দাম মল্লিক বলেন, ‘‘এই প্রথম মাশরুম চাষের বিষয়ে জানলাম। বাড়িতে নিজেই মাশরুম চাষ করব। কারণ গতানুগতিক চাষ করতে গিয়ে অনেক সময়েই লোকসান হচ্ছে।’’ মাশরুমের ভাল বাজার রয়েছে গলসি, বুদবুদ, দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজারেও। বাজারদর দু’শো থেকে তিনশো টাকা প্রতি কেজি।
ব্লকের কৃষি আধিকারিক চিত্যানন্দ সিংহ মুড়া বলেন, ‘‘বাজারে মাশরুমের ভাল চাহিদা রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই এই চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।’’