ফাঁকা চত্বর। নিজস্ব চিত্র।
এক সময়ে এই উৎসবের বইয়ের স্টলে ক্রেতাদের ভিড় বা পুষ্প প্রদর্শনীর সামনে আলোকচিত্রীদের আনাগোনা দেখা যেত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘বার্নপুর উৎসবে’র সেই জৌলুস অনেকখানি কমে গিয়েছে বলে দাবি বাসিন্দাদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, প্রায় ১৫ বছর আগে বার্নপুরে পুষ্প প্রদর্শনীর আয়োজন করত সাবেক আসানসোল পুরসভা। তারই মধ্যে জেলা গ্রন্থাগার মেলাও আয়োজিত হতো। এই সবকেই এক সূত্রে গাঁথতে ১৩ বছর আগে শুরু হয় উৎসব। সঙ্গে রাখা হতো শিল্প-বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন স্টল। যোগ দিত আসানসোল মাইনস বোর্ড অফ হেলথ ও আইএসপি সেল।
কিন্তু গত কয়েক বছরে এই জৌলুসই ধাক্কা খেয়েছে বলে অভিযোগ। সোমবার মেলা চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, তিনশোর মতো ফুলের টব সাজিয়ে চলছে পুষ্প প্রদর্শনী। অথচ বাসিন্দাদের দাবি, এক সময় প্রায় পাঁচ হাজার বিভিন্ন ধরনের ফুলের টব থাকত এখানে। বইয়ের স্টলের সংখ্যাও কমতে কমতে মাত্র একটায় ঠেকেছে। বর্তমানে রয়েছে খান কতক খাবার, পাঁচটি স্কুল এবং কয়েক জন গাড়ি বিক্রেতার স্টল। মেলা চত্বরে মানুষের সংখ্যাও হাতে গোনা। উধাও শিল্প-প্রদর্শনীও।
এক সময় প্রতি বারই ফুলের সম্ভার নিয়ে আসতেন প্রশাম্ত সামন্ত ও দিলীপ সরকার। প্রশান্তবাবুর ক্ষোভ, “২০১২ সালে ফুল গাছের জলটুকুও মেলেনি। বাধ্য হয়ে ফুলের টব নিয়ে চলে আসি।’’ দিলীপবাবু জানান, এ বার ফুলের পাশাপাশি সব্জি প্রর্দশনীও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
উৎসবের আয়োজন নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। উৎসবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সিপিএম নেতা পার্থ সেনগুপ্তের দাবি, ‘‘২০১১-তে রাজ্যে নতুন সরকার তৈরির পরেও পুরনো সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল। কিন্তু বেশ কয়েক বছর সে সব বন্ধ। উৎসবের হাল কোন জায়গায়, তা তো দেখাই যাচ্ছে।’’ উৎসবের জৌলুস হারানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মী বিকাশ গায়েন, স্বপন বিশ্বাসেরাও।
জৌলুস কমার কথা স্বীকার করা হয়েছে উৎসব কমিটির তরফেও। তবে কী কারণে এমন পরিস্থিতি, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি কমিটির কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy