ভস্মীভূত। নিজস্ব চিত্র
তিন জায়গায় কিছুক্ষণের ব্যবধানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। মঙ্গলবার তিনটি ঘটনাই ঘটেছে দুর্গাপুরে।
প্রথম ঘটনা ওই দিন সন্ধ্যায়। ওই দিন দুর্গাপুরে কমলপুর লাগোয়া এলাকায় একটি বেসরকারি ফেরো অ্যালয় কারখানায় আগুন ধরে। দমকলের চারটি ইঞ্জিন প্রায় ঘণ্টা চারেকের চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ কারখানার ভিতরের যন্ত্রে প্রথম আগুন লাগে। সেই যন্ত্রে তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই আগুন সহজেই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রান্সফর্মারে আগুন ধরে যায়। ট্রান্সফর্মারে কয়েক হাজার লিটার তেল ছিল। একসময়ে ট্রান্সফর্মার ফেটে যাওয়ায় জলন্ত তেল ছড়িয়ে পড়ে কারখানার ২ নম্বর ফার্নেসে। কারখানার ভাইস প্রেসিডেন্ট বিজয়কুমার মহান্তির দাবি, আগুনে ফার্নেসটি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।
প্রথমে কারখানার কর্মীরাই কারখানার নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। কিন্তু আগুন ছড়িয়ে পড়ছে দেখে খবর দেওয়া হয় দমকলে। প্রথমে ঘটনাস্থলে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন আসে। আগুনের ভয়াবহতা দেখে পরে আরও দু’টি ইঞ্জিন আসে। কী ভাবে আগুন ধরেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান কারখানা কর্তৃপক্ষ।
ওই দিন গভীর রাতেই দুর্গাপুরের বি-জোনের মার্কনি অ্যাভিনিউয়ের একটি আবাসনের গ্যারাজে একটি গাড়ি ও দু’টি মোটরবাইক ছিল। রাত আড়াইটা নাগাদ বাড়ির লোকজন দেখেন, গ্যারাজে আগুন জ্বলছে। তাঁদের চিৎকার শুনে আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তাঁরা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। খবর যায় দমকলে। একটি ইঞ্জিন এসে বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন আয়ত্বে আনে। তবে গাড়ি ও মোটরবাইক দু’টি পুড়ে যায়। গৃহকর্তা সুবীর ঘোষাল জানিয়েছেন, রাতে বিয়েবাড়ি থেকে ফিরে গ্যারাজে একটি মোটরবাইক রাখেন তিনি। তখনও সব স্বাভাবিক ছিল। তিনি বলেন, ‘‘কী ভাবে আগুন লাগল বোঝা যাচ্ছে না।’’
ওই রাতেই নিউটন এলাকার একটি আবাসনের গ্যারাজেও আগুন ধরে। টহলদার পুলিশকর্মীদের নজরে আসে, একটি মোটরবাইক জ্বলছে। বাড়ির লোকজনদের ডেকে খবর দেয় পুলিশ। তাঁরা নিজেরাই আগুন নিভিয়ে ফেলেন। গৃহকর্ত্রী মাধুরী সিংহের সন্দেহ, ‘‘কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy