প্রতীকী ছবি।
এক রাতে পরপর চারটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটল। বৃহস্পতিবার রাতে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া অণ্ডালের জেকে রোপওয়েজ় কলোনির ঘটনা। এমন ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন বাসিন্দাদের একাংশ। পুলিশ অবশ্য জানায়, ইতিমধ্যেই এক দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করা গিয়েছে।
ওই এলাকায় আবাসনগুলিতে ইসিএলের কাজোড়া এরিয়ার বিভিন্ন খনি ও জেকে রোপওয়েজ়ের কর্মীরা থাকেন। বেশ কিছু দিন ধরে বাড়িতে ছিলেন না মাতম সিংহ, সমীর দাস, প্রমোদ সিংহ ও হরিদাস মুখোপাধ্যায় নামে চার জন। তাঁরা জানান, এই ক’দিন তাঁরা আত্মীয়দের বাড়িতে ছিলেন।
এলাকাবাসী জানান, শুক্রবার সকালে দেখা যায়, চারটি আবাসনেরই সদর দরজার তালা ভাঙা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে অণ্ডাল থানার পুলিশ। বাড়ি ফেরেন হরিদাসবাবুর ছেলে সুমনও। তিনি জানান, বাড়ির তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢোকে। আলমারি ভেঙে নানা জিনিসপত্র চুরি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত বাকি তিন জন এলাকায় আসেননি। তাঁরা বাড়ি ফিরলে কী কী চুরি গিয়েছে, তা জানা যাবে।
এলাকায় এক সপ্তাহ আগেই বাড়ির সামনে থেকে মোটরবাইক চুরির অভিযোগ করেছিলেন সুদীপ রানা নামে এক জন। অথচ, এই কলোনি এলাকা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরেই রয়েছে অণ্ডাল থানা। থানার অদূরে এমন ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও। সিপিএম নেতা প্রবীর মণ্ডল, বিজেপি নেতা জয়ন্ত মিশ্রদের অভিযোগ, এলাকায় নানা অবৈধ কারবার চলছে। জয়ন্তবাবু বলেন, “তিন মাসের মধ্যে অণ্ডালবাজার এলাকা থেকে তিনটি মোটরবাইক, মদনপুর এলাকা থেকে তিনটি টোটো, শ্রীরামপুর, পুবরার লোকনাথ মন্দির এলাকা ও ভাদুর গ্রামের রাস্তায় লাগানো সৌরবিদ্যুৎ চালিত পথপাতি থেকে ব্যাটারি চুরির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ-প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি।”
পুলিশ ‘নিষ্ক্রিয়তার’ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানায়, ইতিমধ্যেই একটি মোটরবাইক ও একটি টোটো উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়িতে চুরির ঘটনায় জড়িত ‘দুষ্কৃতী’ দ্রুত ধরা পড়বে, আশ্বাস পুলিশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy