Advertisement
E-Paper

গণধর্ষণের নালিশ নিয়ামতপুরে

বধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে এলাকার তিন যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাতে কুলটির নিয়ামতপুরে ঘটনাটি ঘটে। মঙ্গলবার আসানসোল হাসপাতালে মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে তাঁর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ০১:১১
ধৃতদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।—নিজস্ব চিত্র।

ধৃতদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।—নিজস্ব চিত্র।

বধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে এলাকার তিন যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাতে কুলটির নিয়ামতপুরে ঘটনাটি ঘটে। মঙ্গলবার আসানসোল হাসপাতালে মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে তাঁর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলা নিয়ামতপুরের চার নম্বর আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা। তাঁর পরিবার জানায়, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তিনি বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে একটি ফাঁকা মাঠে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাত সাড়ে ৯টা বেজে যাওয়ার পরেও তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যেরা খুঁজতে বেরোন। রাত ১০টা নাগাদ তাঁরা ওই মাঠে মহিলাকে অচেতন ও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে খাকতে দেখেন। তাঁকে এলাকার এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই মহিলা স্বামীকে গণধর্ষণের ঘটনার কথা জানান বলে পরিবারের দাবি।

মহিলার কাছ থেকে তিন অভিযুক্তের নাম জানার পরেই প্রতিবেশীরা তাদের খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। ইতিমধ্যে খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ জানায়, লোসো সোরেন ও মিলন মুর্মু চার নম্বর আদিবাসী পাড়ারই বাসিন্দা। মূল অভিযুক্ত বিজয় সোরেন কিছুটা দূরের রাধানগর এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে এলাকার লোকজনই অভিযুক্তদের খুঁজে বের করেন। ক্ষুব্ধ জনতা তাদের একচোট মারধরও করে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, তিন অভিযুক্তই অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

রাতেই নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে পৌঁছন কমিশনারেটের এসিপি (পশ্চিম) অভিষেক রায়। তিনি নিজে ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করেন। এলাকার বাসিন্দারা ফাঁড়িতে জড়ো হয়ে অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানান। অভিষেকবাবু তাঁদের আশ্বস্ত করেন। নির্যাতিতা পুলিশকে জানান, রাতে চাঁদের আলোয় তিনি ওই যুবকদের তিনি চিনতে পেরেছিলেন। অভিষেকবাবু বলেন, ‘‘একটি গণধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে।’’

মঙ্গলবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করায় পুলিশ। এ দিন আসানসোল আদালতের বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে মহিলার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

গোটা ঘটনা নিয়ে এ দিন সকালেও বেশ ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, এক দিকে লিথুরিায় রোড, অন্য দিকে ইস্কো রোড মাঝের ফাঁকা এলাকায় আগে প্রতি দিন পুলিশ টহল দিত। ইদানীং সে সবের বালাই নেই। অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে কারও দেখা মেলেনি। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত তিন জনকে জেরা করা হচ্ছে।

Niyamatpur police gang rape agitation asansol hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy