Advertisement
১৬ মে ২০২৪
Kazi Nazrul University

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরিয়ে দিলেন রাজ্যপাল বোস

গত ১৪ মার্চ থেকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে, তাঁর পদত্যাগের দাবিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য আন্দোলন শুরু করছিলেন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, আধিকারিক এবং ছাত্রছাত্রীদের বড় অংশ।

CV Ananda Bose

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অপসারিত করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২৩ ০১:৩৮
Share: Save:

আন্দোলনের ৬০ দিনের মাথায় অপসারিত হলেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। শনিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস উপাচার্যকে তাঁর পদ থেকে অপসারিত করেন। বিশ্ববিদ্যালেয়র রেজিস্ট্রারের তরফে ই-মেল মারফত সাধনকে এই বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে কার্যত খুশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীরা।

বহু দিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আন্দোলন চলছিল। গত ১৪ মার্চ থেকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে, তাঁর পদত্যাগের দাবিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য আন্দোলন শুরু করছিলেন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, আধিকারিক এবং ছাত্রছাত্রীদের বড় অংশ।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতির আখড়া করে রেখেছেন উপাচার্য। তাঁদের সঙ্গে সরব হয়েছিলেন রেজিস্ট্রারও। সে কারণে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারকে তাঁর পদে বহাল করা হয়। তাঁদের আরও অভিযোগ ছিল, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মাণ কাজের জন্য বহু মূল্যবান গাছ কেটে বিক্রি করা হলেও তার কোনও হিসাব নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা অনিয়মিত হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের নিয়মিত বেতন দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে অনেককে কোনও দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা যায়নি। মোট প্রায় প্রায় ২৬ লক্ষ টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ছিল সাধনের বিরুদ্ধে।

আন্দোলন চলাকালীন অচলাবস্থা কাটাতে বেশ কয়েক বার উদ্যোগী হন সাধন। আন্দোলকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও সমাধানসূত্র মিলছিল না। তাঁরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতেই অনড় ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতেও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিলেন তিনি। শেষমেষ আদালতের দ্বারস্থ হন সাধন। আদালত নির্দেশ দেয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতরে ধর্না নয়, ধর্না দিতে হবে ক্যাম্পাসের বাইরে। মূল প্রবেশদ্বার থেকে ৫০ মিটার দূরে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে, পুলিশের সহযোগিতায় নিজের কার্যালয়ে ঢুকতে পারেন সাধন। এত কিছুর পরেও নিজের পদ বাঁচাতে পারলেন না সাধন। আন্দোলনের ৬০ দিনের মাথায় আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিয়ে তাঁকে উপাচার্যের পদ থেকে অপসারিত করলেন রাজ্যপাল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kazi Nazrul University CV Ananda Bose
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE