ফুটপাথের উপরেই বসেছে বাজার। হাটন রোডে তোলা নিজস্ব চিত্র।
জিটি রোডের দু’পাশ-সহ আসানসোল শহরের সমস্ত সরকারি জমি দখলমুক্ত করার জন্য পুরসভার দেওয়া ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবারই। তার পরে শুক্রবারও দেখা গেল, ফুটপাথ দখল করেই চলছে বিকিকিনি। শহরে ঢুকতে গিয়ে যানজটে বাসিন্দাদের নাকাল হওয়ার দৃশ্যও নজরে পড়েছে।
আসানসোলের দুর্গা মার্কেট চত্বর। সামনেই রয়েছে জিটি রোড। শুক্রবার দেখা গেল, প্রায় মিনিট পনেরো ধরে যানজটে দাঁড়িয়ে যাত্রীবাহী বাস, গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স। জট ছাড়াতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম পুলিশকর্মীরা। প্রশাসনের সূত্রে খবর, ওই এলাকা থেকে শুরু করে মুর্গাসোল পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার দু’ধারে কয়েক হাজার হকার ব্যবসা চালাচ্ছেন। অনেকে রাস্তার প্রায় উপরেই উঠে এসেছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, অবৈধ দখলদার থাকায় দমকলের ইঞ্জিন দ্রুত যেতে পারে না। হাটনরোড এলাকা ধরে জল ভরতে গিয়েও সমস্যায় পড়ে দমকল।
আসানসোল বাজারের প্রায় এক কিলোমিটারের মতো ফুটপাথের পুরোটাই হকারদের দখলে বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ‘‘চালফেরা করা তো দায়। প্রতিবাদ করলে হকারেরা
দুর্বব্যবহার করেন।’’
হকারদের নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বড় দোকানের মালিকেরাও। তাঁদের দাবি, দোকানের সামনে অস্থায়ী পলিথিনের ছাউনি এমন ভাবে টাঙানো হয়েছে, যে, ক্রেতারা দোকানে আসতে সমস্যায় পড়েন। একাধিকবার এই সমস্ত অভিযোগ পেয়ে গত মঙ্গলবার পুরসভা হাকার উচ্ছেদের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। কিন্তু তার পরেই পুনর্বাসনের দাবি চেয়ে শহরে মিছিল, বিক্ষোভ কর্মসূচি নেয় তৃণমূল সমর্থিত হকার ইউনিয়ন। সেই মতো, বৃহস্পতিবারই শ’দুয়েক হকার মিছিল করে পুরসভায় বিক্ষোভ দেখাতে যান। তবে কিছুটা দূরে সেই মিছিল আটকে দেওয়া হয়। পরে ঠিক হয়, ২৯ ডিসেম্বর রবীন্দ্র ভবন প্রেক্ষাগৃহে আলোচনায় বসবেন হকার ও পুর কর্তৃপক্ষ। সেখানেই সমাধান সূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হবে বলে দাবি।
পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, যেখানে-সেখানে না বসে নির্দিষ্ট বাজারে ন্যূনতম রাজস্বের বিনিময়ে হকারেরা ব্যবসা করুন। তা হলে পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি শহরের সৌন্দর্যায়নও হবে। মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিও বলেন, ‘‘সবাইকে নিয়েই আমরা চলতে চাই। নতুন ব্যবস্থায় সুন্দর নাগরিক পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy