Advertisement
E-Paper

অটো নিয়ে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

প্রায় বছর দুয়েক আগেই কলকাতা হাইকোর্ট আসানসোল মহকুমায় অবৈধ অটো চলাচল বন্ধের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সেই নির্দেশ কতটা কার্যকর হয়েছে, সম্প্রতি তা মহকুমা পরিবহণ দফতরের কাছে জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:৫০

প্রায় বছর দুয়েক আগেই কলকাতা হাইকোর্ট আসানসোল মহকুমায় অবৈধ অটো চলাচল বন্ধের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সেই নির্দেশ কতটা কার্যকর হয়েছে, সম্প্রতি তা মহকুমা পরিবহণ দফতরের কাছে জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যদি কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয়ে থাকে, তবে তিন মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নিয়ে আদালতে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহকুমা পরিবহণ আধিকারিক।

আসানসোল মহকুমায় অবৈধ অটো চলাচল বন্ধ ও অটোর পারমিট না দেওয়ার আবেদন জানিয়ে ২০০৬-এ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশন। অভিযোগ ছিল, শহরের প্রায় সব বাসরুটেই যথেচ্ছ ভাবে ছুটছে লাইসেন্সহীন অটো। এর জেরে মিনিবাসের যাত্রীসংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমছে। মার খাচ্ছে মহকুমার বেসরকারি বাস পরিবহণ শিল্প। প্রায় দশ বছর ধরে চলেছে মামলার শুনানি। শুনানি পর্বে অটোর পারমিট দেওয়া বন্ধ থাকলেও অবৈধ অটো চলাচলে রাশ পড়েনি বলে অভিযোগ মিনিবাস মালিকদের।

পরিবহণ দফতরের অভিযোগ, শহরের যুবকদের একাংশ ঝাড়খণ্ড ও পুরুলিয়া পরিবহণ দফতর থেকে লাইসেন্স নিয়ে এসে অবৈধ উপায়ে অটো চালাতে শুরু করেন। এই অবস্থায় যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে মিনিবাসের চালক, কন্ডাক্টরের সঙ্গে অটোচালকদের প্রায়ই ঝামেলা হত। এমনকি, দিনের পর দিন বাস পরিবহণও বন্ধ রাখেন মালিকেরা। ২০১৬-য় শুনানির শেষ দিনে কলকাতা হাইকোর্ট অটোর পারমিট না দেওয়ার পাশাপাশি শহরে অবৈধ অটো চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয়। রায় হাতে আসার পরেই পরিবহণ দফতর মহকুমা জুড়ে চলা ঝাড়খণ্ড ও পুরুলিয়ার নম্বরের অটোর ধরপাকড় শুরু করে।

পরিবহণ দফতর তৎপর হতেই অটোচালকেরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। তাঁরা শহরে অটো চালানোর বৈধ অনুমতি চেয়ে আন্দোলনেও নামেন। তাঁদের রুটিরুজির স্বার্থে মিনিবাস মালিক ও অটোচালকদের নিয়ে বৈঠক করেন পরিবহণ আধিকারিকেরা। মিনিবাস মালিকদের সম্মতিতে ঠিক হয় বাসরুট ছাড়া শহরের অন্য রাস্তায় অটো চলাচলের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। পরিবহণ দফতর মহকুমায় এমন ৮৭টি রুট বানায়। এই সব রাস্তায় চলাচলের জন্য ১৮৭০টি অটোকে পারমিট দেওয়া হয়। কিন্তু এর পরেও বাসরুটে অটো চলাচল বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ রায়ের। তা নিয়ে গোলমালও হচ্ছে প্রায়ই। সুদীপবাবুর কথায়, ‘‘এখনও মহকুমার প্রতিটি বাসরুটে সব মিলিয়ে পাঁচ থেকে সাত হাজার অবৈধ অটো চলছে। আমরা তাই ফের পুরনো নির্দেশ বাস্তবায়িত করার দাবিতে হাইকোর্টে গিয়েছি।’’

বিষয়টি নিয়ে মহকুমা পরিবহণ আধিকারিক মানস হালদার বলেন, ‘‘হাইকোর্ট তিন মাসের মধ্যে নির্দেশ কার্যকর করে রিপোর্ট দিতে বলেছে।’’ তিনি জানান, আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।

Illegal Auto Asansol Calcutta High Court কলকাতা হাইকোর্ট
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy