Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
eid

Eid: জমাট ইদের বাজার, ক্ষোভ চড়া দাম নিয়ে

ইদ উপলক্ষে রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তেই বাজার জমে উঠে। জামাকাপড় থেকে চুড়ি, সুগন্ধীর দোকানেও ভিড় জমতে শুরু করে।

কেনাকাটা। দুর্গাপুরে বেনাচিতি বাজারে। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

কেনাকাটা। দুর্গাপুরে বেনাচিতি বাজারে। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর, আসানসোল শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২২ ০৭:৪৩
Share: Save:

করোনা অতিমারির কারণে গত দু’বছর ইদের বাজার সে ভাবে জমে ওঠেনি। তবে এ বার পশ্চিম বর্ধমান জেলার চিত্রটা একেবারে আলাদা। জমজমাট ইদের বাজার। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

গত বেশ কয়েকদিন ধরে দুর্গাপুরের বেনাচিতি, স্টেশন বাজার, মামরা বাজার, চণ্ডীদাস বাজারের মতো বড় বাজারগুলিতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গিয়েছে। সোমবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বিক্রেতাদের দাবি, বহু দিন পরে ইদের এমন ‘জমাট’ বাজার দেখা গেল।

ইদ উপলক্ষে রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তেই বাজার জমে উঠে। জামাকাপড় থেকে চুড়ি, সুগন্ধীর দোকানেও ভিড় জমতে শুরু করে। ব্যতিক্রম নয় পশ্চিম বর্ধমানও। দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, গত দু’বছর ইদের বাজার তেমন জমেনি। তার অন্যতম ও একমাত্র কারণ করোনা। কাজেই উৎসব পালনেও নানা বিধি-নিষেধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর তেমন কোনও বিধি-নিষেধ না থাকায়, মানুষের আগ্রহ অনেক বেড়েছে। বছরের এই একটি দিনের আনন্দের জন্য মুখিয়ে থাকেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। এ বার তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে বাজারগুলিতে।

সোমবার বেনাচিতি বাজার বন্ধ থাকলেও, ইদ উপলক্ষে বেশির ভাগ জামাকাপড়ের দোকান খোলা ছিল। সেখানে অনেকেই জামাকাপড় কিনতে ব্যস্ত ছিলেন। এক ব্যবসায়ী তপন ভগৎ জানান, বেশ কিছু দিন ধরেই ইদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। যে যাঁর সাধ্যমতো জিনিস কিনেছেন। ফলে, বিক্রেতাদেরও সুবিধা হয়েছে। এ দিন বেনাচিতি বাজারের রাস্তার পাশে দেখা গেল অনেক অস্থায়ী চুড়ির, সুগন্ধীর দোকান। ইদের দিন মহিলাদের চুড়ি পড়ার রেওয়াজ রয়েছে। বহু মহিলাই এ দিন চুড়ি কিনতে বাজারে আসেন। তেমনই কয়েকজন সুলতানা পারভিন, আজিজা মল্লিকেরা বলেন, “গত দু’বছর বাড়িতেই ইদ পালন করতে হয়েছে। এ বার বাইরে বেরোতে পারব ভেেব বেশ ভাল লাগছে।”

একই ছবি দেখা গিয়েছে দুর্গাপুরের অন্যান্য বাজারগুলিতেও। জামাকাপড়ের পাশাপাশি লাচ্ছা, সিমাইয়ের দোকানেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দুর্গাপুর টাউনশিপের ইশাক মিস্ত্রি, আব্দুল করিমরা বলেন, “অনেক আগে থেকেই বাজারে কেনাকাটা চলছে। সোমবার, শেষ দিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ইদের উৎসবের জন্য মুখিয়ে আছি।”

কাঁকসা, বুদবুদ বাজার, আসানসোল বাজারের যাদব মার্কেট, হাটন রোড, বার্নপুর বাজারেও মানুষের ভিড় লক্ষ করা গিয়েছে। বিশেষ করে বেশি ভিড় দেখা গিয়েছে পোশাকের দোকানে। এ দিন কল্যাণেশ্বরীতে পোশাক কিনতে আসা বুলবুল খান নামে এক মহিলা বলেন, “গত দু’বছর কোভিডের কারণে সে ভাবে ইদের বাজার করতে পারেনি। তাই এ বছর জমিয়ে বাজার করলাম। তবে জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া।” তিনি জানান, যেখানে দু’বছর আগে সিমাই ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, এ বছর তা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বারাবনির পানুড়িয়ার তাহির খান নামে এক ক্রেতাও জানান, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর জিনিসের দাম একটু চড়া। তাতেই মানিয়ে-গুছিয়ে নিতে হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

eid Eid al-Fitr
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE