দিন কয়েক ধরে চলছে লাগাতার বৃষ্টি। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সব্জি ও মাছের দাম। বাজারে গিয়ে থলি ভর্তি করাই এখন সমস্যা হয়ে উঠেছে, বলছেন ক্রেতারা।
আলুর দাম আগেই বেড়েছে। সব্জি ও মাছের দাম কিছুটা হলেও মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে ছিল। কিন্তু দিন কয়েকের বৃষ্টিতে এখন তারাও চড়তে শুরু করেছে। বুধবার দুর্গাপুর শহরের নানা বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে, জ্যোতি আলুর দাম প্রতি কেজি ২০-২২ টাকার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু পটল, টম্যাটো, ঝিঙে-সহ বিভিন্ন সব্জির দাম বেড়েছে। চণ্ডীদাস বাজারে পটল বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়, কয়েক দিন আগেও যা ১৬-২০ টাকার মধ্যে ছিল। প্রতি কেজি টম্যাটো দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকায়। বৃষ্টির আগে যা ছিল ৩০ টাকার নীচে। কয়েক জন বিক্রেতা জানালেন, বৃষ্টির জন্য সব্জির জোগান কমে যাচ্ছে। ফলে, দাম ওঠানামা করছে। মামরা বাজারে ঝিঙে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে, যা কয়েক দিন আগেও ছিল ২০ টাকার মধ্যে। আবার লঙ্কার দামও মাঝেমধ্যেই কমছে বাড়ছে। মামরা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সব্জির দাম যখন বেড়ে যাচ্ছে ক্রেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের।’’
মাছের দাম এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, এই বর্ষায় মাছের জোগান কম। বেনাচিতি বাজারে ১ কেজি বা তার বেশি ওজনের দেশি কাতলা বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৭০ টাকায়। তার কম ওজনের কাতলার দাম দু’শো টাকার বেশি, যা কিছু দিন আগেও দেড়শো টাকার আশপাশে ছিল। বেনাচিতি বাজারের মাছ ব্যবসায়ী কালিদাস ধীবর জানান, এখন পুকুর, খালবিল সব ভরে গিয়েছে। তাই মাছের জোগান কম। দাম বাড়ছে। মাছের দাম আরও বাড়তে পারে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ক্রেতাদের কপালে। বেনাচিতির বাসিন্দা দেবাশিস রায় বলেন, ‘‘পাতে মাছ তো লাগবেই। কিন্তু দাম যে ভাবে বাড়ছে, কী ভাবে কিনব বুঝতে পারছি না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy