Advertisement
E-Paper

ভোট পার হতেই ভিড় পুজোর বাজারে

ভোট-পর্বে প্রায় এক মাস ধরে মার খেয়েছে পুজোর বাজার। ভোট মিটতেই তাই ব্যবসায়ীদের আশা, এ বার স্লগ ওভারে ঝোড়ো গতিতে ব্যাট করবে পুজোর বাজার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৫ ০১:০৬
বাঁ দিকে, সুনসান শনিবার। ডানদিকে, রবিবারে ক্রেতাদের ভিড়। আসানসোলের বাজারে তোলা নিজস্ব চিত্র।

বাঁ দিকে, সুনসান শনিবার। ডানদিকে, রবিবারে ক্রেতাদের ভিড়। আসানসোলের বাজারে তোলা নিজস্ব চিত্র।

ভোট-পর্বে প্রায় এক মাস ধরে মার খেয়েছে পুজোর বাজার। ভোট মিটতেই তাই ব্যবসায়ীদের আশা, এ বার স্লগ ওভারে ঝোড়ো গতিতে ব্যাট করবে পুজোর বাজার। আশা যে অমূলক নয়, তা বোঝা গেল আসানসোলে রবিবাসরীয় পুজোর বাজারে ঢুঁ মেরেই। খানিকটা হলেও দেখা মিলল পুজো বাজারের চেনা ছন্দের।

পুজো শুরুর মোটামুটি একমাস আগে থেকেই আসানসোলের প্রধান বাজার-সহ অন্যান্য বাজারগুলিতে ক্রেতার ঢল নামতে শুরু করে। কিন্তু প্রতিবারের চেনা ছবিটা এ বার আসানসোলের ক্ষেত্রে অন্তত ধরা পড়েনি। মাসভর রাজনৈতিক চাপানউতোর, প্রচার, স্লোগান এবং শনিবারের ভোটে কার্যত মাঠে মারা গিয়েছে পুজোর বাজার। আসানসোলের মূল বাজারের বস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, গোটা মাস জুড়েই ক্রেতারা তেমন বাজারমুখো হননি। একই ছবি শিল্পাঞ্চলের অন্যান্য বাজারগুলিতেও। বার্নপুরের বস্ত্র ব্যাবসায়ী ভক্ত দত্ত বলেন, ‘‘গত শুক্রবার থেকেও পরপর ৩ দিনের ছুটি কাটিয়েছেন ইস্পাত শহরের মানুষজন। কিন্তু বাজার তো দূর, বাড়ির বাইরেই পা রাখেননি কেউ।’’ শনিবার ভোট মেটার পরেও কেউ বাজারমুখো হননি। আসানসোল শিল্পাঞ্চলের প্রান্তে রয়েছে বরাকরের বাজারটি। এখানে পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ড ও পাশের জেলা পুরুলিয়া থেকেও ক্রেতারা আসেন। পুরভোটের জন্য সীমান্ত এলাকায় ছিল নজরদারির ব্যবস্থা। এখানের ক্রেতাদের বক্তব্য, কোনও ঝামেলা এড়াতেই তাঁরা বাজারমুখো হননি।

তবে রবিবারের ছবিটা খানিকটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে ব্যবসায়ীদের। শনিবার ভোট শেষ হওয়ার পর পুজো বাজারের হাতে মোটে সপ্তাহ দু’য়েক সময় পড়ে রয়েছে। রীতিমতো হিসেব কষে জনা কয়েক ক্রেতা দেখিয়ে দিলেন শনি, রবি নিয়ে আর মোটে ৩টি ছুটির দিন পড়ে রয়েছে। তাই আর দেরি না করে ভোট মিটতেই ক্রেতারও বেরিয়ে পড়েছেন রবিবাসরীয় বাজার করতে। আসানসোলের মূল বাজার-সহ শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ বাজারেই এ দিন ছিল উপচে পড়া ভিড়। দুপুরে সপরিবারে বাজার করতে এসেছিলেন ইসিএল কর্মী বিপ্রেন্দু বিশ্বাস। তাঁর কথায়, ‘‘ভোটের জন্য এ বার চারটে ছুটির দিন মার খেয়েছে। তাই তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়েছি বাজার করতে।’’ ক্রেতাদের ভিড় দেখে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন শহরের বস্ত্র ব্যবসায়ীরাও। বস্ত্র ব্যবসায়ী প্রকাশ জয়সওয়াল বলেন, ‘‘গোটা সেপ্টেম্বর মাসটা জুড়েই এ বার বাজারের অবস্থা মোটামুটি ছিল। বাজার এ বার মাত্র ১৪ দিন আগে শুরু হল। তবে রবিবারটা দেখে মনে হচ্ছে শহরে পুজো এল।’’

বার্নপুরের বাজারেও পুজোর ভিড়টা চোখে পড়েছে রবিবার। ইস্কোর কর্মী প্রিয়তোষ সাহা বলেন, ‘‘ভোটের জন্য এই ক’দিন ঝুঁকি নিয়ে বেরোতে পারিনি। আর অপেক্ষা করা যাবে না।’’ হাসি ফিরেছে বরাকরের বস্ত্র ব্যবসায়ীদের মুখেও। বস্ত্র ব্যবসায়ী নিতাই করের কথায়, ‘‘রবিবার বাজারে অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে।’’

এখন ব্যবসায়ীরা তাকিয়ে আছেন মাত্র সপ্তাহ দু’য়েক হাতে নিয়েই পুজোর বাজার দিন কয়েকের ঘাটতি সামলাতে পারে কি না।

market Asansol bardhaman
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy