প্রাক্তন পুলিশকর্তা হুমায়ুন কবীর। ফাইল চিত্র।
রাজ্যের পুলিশকর্তা হিসাবে যে হুমায়ুন কবিরের কাজ ছিল, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করা, সেই ব্যক্তিই রাজ্যের মন্ত্রী হওয়ার পরে, বীরভূমের বগটুই-কাণ্ডকে ‘ছোটখাটো ঘটনা’ বলে মন্তব্য করলেন! এই মন্তব্যের পরেই সরব হয়েছেন বিরোধীরাও।
এক বারও ‘বগটুই’ শব্দটি উচ্চারণ না করেও, হুমায়ুন বৃহস্পতিবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে বলেন, “কোথায়, কী ঘটনা ঘটেছে, ছোটখাটো ঘটনা ঘটবেই, একটা রাজ্য থাকলে, এত মানুষ থাকলে কিছু না কিছু ঘটনা ঘটবেই, এটা জানা কথা— তা নিয়ে ওরা (বিরোধীরা) মারামারি, গুন্ডামি শুরু করল। বিরোধী দলনেতার উস্কানিতে বিধানসভার ভিতরে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ল। মার্শাল ও মহিলা কর্মীদের উপরে অশালীন ভাবে চড়াও হল।” তাঁর সংযোজন: “বিধানসভার বাইরে হলে, তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হত। বিধানসভা স্পিকারের অধীনে। বাইরে হলে, ওঁদের গ্রেফতার করে হেফাজতে নিতাম।” সে সঙ্গে, বিরোধীদের কেন্দ্রের কাছে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তোলার দাবিও জানান।
পাশাপাশি, বিরোধীদের সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রাক্তন পুলিশকর্তা বলেন, “আদৌ সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে না। খুচখাচ ঘটনা কিছু ঘটবে। আমরাও কর্মজীবনে দেখেছি। কিন্তু অশান্তি যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেটা দেখতে হবে। রাজ্য সরকার খুব সাফল্যের সঙ্গে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে।”
হুমায়ুনের এ মন্তব্য়ের পরেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, “বগটুই যদি ছোট ঘটনা হয়, তা হলে বড় ঘটনা কাকে বলে, প্রাক্তন পুলিশকর্তার কাছে জানতে চাইব বিধানসভায় দেখা হলে।” সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায়সরকারের প্রতিক্রিয়া, “পার্কস্ট্রিট কাণ্ডের পরে ওঁর নেত্রী ‘ছোট ঘটনা’ বলেছিলেন। সেখান থেকে পাঠ নিয়েই, পুলিশি-শিক্ষার পাঠ ভুলে শাসক দলের নামতা পড়ছেন। অত্যন্ত লজ্জার মন্তব্য।” যদিও তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “উনি বলতে চেয়েছেন, এত বড় রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি আদতে ভাল। ওঁর মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy