Advertisement
E-Paper

মেলেনি আয়রন ট্যাবলেট 

সব প্রসূতিদের আয়রন ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর। অথচ জামুড়িয়ার বীরকুলটি গ্রামেই পাঁচ জন ট্যাবলেট পাননি এ মাসে। বীরকুলটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাবলেটের সরবরাহ না থাকায় তাঁরা তা দিতে পারেননি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:১৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সব প্রসূতিদের আয়রন ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর। অথচ জামুড়িয়ার বীরকুলটি গ্রামেই পাঁচ জন ট্যাবলেট পাননি এ মাসে। বীরকুলটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাবলেটের সরবরাহ না থাকায় তাঁরা তা দিতে পারেননি।

বীরকুলটি গ্রামের প্রসূতি কবিতা গড়াই তিন মাস ও ঝিলিকমালা কোড়া চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাঁরা দু’জনেই জানান, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থেকে না পাওয়ায় এক মাস ট্যাবলেট খাননি তাঁরা। কবিতাদেবীর স্বামী সুকান্ত গড়াই ও ঝিলিকমালাদেবীর স্বামী মিঠু কোড়া দিনমজুরের কাজ করেন। তাঁদের দাবি, প্রতিদিন একটা করে ট্যাবলেট খাওয়ার কথা বলেছিলেন ডাক্তার। কিন্তু পয়সার অভাবে বাইরের দোকান থেকে তা কিনে দিতে পারেননি তাঁরা।

আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস জানান, যাঁদের রক্তাল্পতা নেই তাঁদের ও যাঁদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ দশের উপরে আছে তাঁদের দৈনিক একটি করে ও যাঁদের এই মাত্রা দশের নীচে আছে তাঁদের দু’টি করে আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ানো উচিত। তা না হলে প্রসূতির অপুষ্টিজনিত রোগে ভোগার সম্ভাবনা থাকে। গর্ভস্থ শিশুর ওজনও কমে যায়।

বীরকুলটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্স প্রতিমা বাদ্যকর জানান, তাঁরা জানুয়ারি মাসে পাঁচ জনকে এই ট্যাবলেট দিতে পারেননি। আশাকর্মীদের কাছেও এই ট্যাবলেট মজুত ছিল না। প্রতিমাদেবীর দাবি, “বৃহস্পতিবার বাহাদুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ট্যাবলেট পাওয়া গিয়েছে। আজ, শুক্রবার থেকে আবার দেওয়া যাবে।”

সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষ্মী মুর্মুর দাবি, বিষয়টি তাঁদের জানা ছিল না। এমন যাতে না হয় সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দফতরে আবেদন জানাবেন তাঁরা।

যদিও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস হালদার আয়রন ট্যাবলেটের অভাব মানতে চাননি। দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘এ মাসেই জেলায় ১৭৩টি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র, ৪২টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, দুটি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সাতটি গ্রামীণ, একটি মহকুমা ও একটি জেলা হাসপাতালের মাধ্যমে ২৪ হাজার প্রসূতি ও প্রসবের পরে তেরো হাজার জন মাকে আইরন ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে।’’ কোনও এলাকা থেকে ট্যাবলেটের অভাবের কোনও অভিযোগ আসেনি বলেও তাঁর দাবি।

Anemia Iron Tablet Pregnant Mother
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy