Advertisement
০৬ মে ২০২৪

জুটমিল ফের চালুর বিজ্ঞপ্তি

২০০৭ সালে মিলটি চালু হয়েছিল। কিন্তু ২০১১ সালের ১২ জুলাই কাজ বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তার পর থেকে বন্ধই পড়েছিল কারখানা। বৃহস্পতিবার ফের কারখানা চালুর বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

—ফাইল ছবি

—ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৫৭
Share: Save:

প্রায় সাড়ে আট বছর পরে আবার চালু হতে চলেছে পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জের মঙ্গলপুর শিল্পতালুকের জুটমিল। ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’ বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে ওই কারখানায়। তাতে খুশির হাওয়া কর্মীদের মধ্যে। সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বণিক সংগঠনও।

২০০৭ সালে মিলটি চালু হয়েছিল। কিন্তু ২০১১ সালের ১২ জুলাই কাজ বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তার পর থেকে বন্ধই পড়েছিল কারখানা। বৃহস্পতিবার ফের কারখানা চালুর বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সিটু অনুমোদিত ‘রানিগঞ্জ-হুগলি জুটমিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন’-এর মঙ্গলপুর শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, জুটমিল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২৩- ৩০ নভেম্বর মিলের একটি কার্যালয় খোলা থাকবে। যাঁরা কাজ করতে ইচ্ছুক, তাঁদের পরিচয়পত্র-সহ আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

ওই সংগঠনের সম্পাদক উমাপদ গোপ অভিযোগ করেন, কোনও কারণ না জানিয়েই মিল বন্ধের বিঞ্জপ্তি জারি করা হয়েছিল। সিটুর আন্দোলনের পরে, ১,৩০৯ জন প্রাক্তন কর্মীকে মাসিক দেড় হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। উমাপদবাবুর দাবি, ‘‘আগে প্রায় সাত বার একই ভাবে কর্তৃপক্ষ মিলে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন। আবার যাতে তেমন না হয়, তা রাজ্য সরকারের দেখা উচিত।”

ডিওয়াইএফের রানিগঞ্জ জোনাল সম্পাদক সাগর বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, “অগস্টে মিল চালু করার দাবিতে জেলাশাসক থেকে শ্রম দফতর, নানা জায়গায় চিঠি দিয়েছিলাম। তার পরে মিল চালুর সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। রানিগঞ্জে অন্য বন্ধ কারখানা চালু করতে কর্মীদের আন্দোলনে আমরা পাশে থাকছি।” স্থানীয় বিধায়ক রুনু দত্ত বলেন, “বিধানসভায় অন্তত বারো বার মিলটি চালু করার আবেদন জানিয়েছি। এই সিদ্ধান্তে প্রাক্তন কর্মীরা ছাড়া, এলাকাবাসীও উপকৃত হবেন।”

রানিগঞ্জ বণিকসভার সভাপতি সন্দীপ ভালোটিয়ার মতে, প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়ায় চটজাত সামগ্রীর চাহিদা বাড়ছে। জুটমিলটি চালু হলে এলাকাবাসী উপকৃত হবেন। তিনি বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত।’’ কারখানার একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, অলাভজনক হয়ে পড়ায় বন্ধ করা হয়েছিল মিলটি। এখন কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, সংস্থার অন্য কারখানার উৎপাদনে সহায়ক ইউনিট হিসাবে এই মিলটি ব্যবহার করা যাবে।

কারখানার প্রাক্তন কর্মী শম্ভু দাস চায়ের দোকান চালান। তিনি বলেন, ‘‘আমরা মিল চালু হওয়ার জন্য দিন গনছিলাম। বেশ ভাল লাগছে।’’ আর এক প্রাক্তন কর্মী, জেমারির বাসিন্দা ফটিক রুইদাস মালি বলেন, ‘‘সব পুরনো কর্মী কাজ পেলে খুশি হব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rani Gunj Jute Mill
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE