Advertisement
E-Paper

চেনা ঘরে চেনা মুখেই ভরসা বিজেপির

জেলার গ্রামীণ অংশে বিজেপির ঘাঁটি বলে পরিচিত পূর্বস্থলীর দুই বিধানসভা কেন্দ্রে চেনা মুখের উপরেই ভরসা রাখল বিজেপি। বৃহস্পতিবার জেলার ১৪টি কেন্দ্রে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বিজেপি। দেখা যায়, পূর্বস্থলী দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃণমূলের বিদায়ী বিধায়ক ও মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয়েছে এক সময়ের দলের জেলা সভাপতি রাজীব ভৌমিককে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৬ ০২:০৫

জেলার গ্রামীণ অংশে বিজেপির ঘাঁটি বলে পরিচিত পূর্বস্থলীর দুই বিধানসভা কেন্দ্রে চেনা মুখের উপরেই ভরসা রাখল বিজেপি।

বৃহস্পতিবার জেলার ১৪টি কেন্দ্রে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বিজেপি। দেখা যায়, পূর্বস্থলী দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃণমূলের বিদায়ী বিধায়ক ও মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয়েছে এক সময়ের দলের জেলা সভাপতি রাজীব ভৌমিককে। আর উত্তর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন গত বারের প্রার্থী স্বপন ভট্টাচার্য।

দলের কর্মীদের দাবি, লোকসভা নির্বাচনে এই এলাকা থেকে ভাল ভোট পেয়েছিল গেড়ুয়া শিবির। ও পার বাংলা থেকে আসা মানুষজনেরও উপরেও দলের ভাল প্রভাব রয়েছে। গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী তপন চট্টোপাধ্যায় জিতলেও বিজেপি প্রার্থী স্বপনবাবু ১৭ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা শহরে বাড়ি হলেও বহু বছর ধরে স্বপনবাবুর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পূর্বস্থলীতে। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছেন তিনি। এ বারেও তার হাতেই ভরসা রাখল দল। পূর্বস্থলী দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রার্থী রাজীব ভৌমিকও জেলার বিজেপির চেনা মুখ। দোগাছিয়া এলাকার বাসিন্দা রাজীববাবুর নেতৃত্বেই লোকসভা ভোটে এই এলাকা থেকে ভাল ভোট পেয়েছিল বিজেপি। বর্তমানে তিনি হুগলির পর্যবেক্ষক এবং দলের রাজ্য কমিটির সদস্য। দলের কর্মীরা জানান, এত দিন প্রার্থী ঠিক না হওয়ায়ই প্রচারও শুরু করা যাচ্ছিল না। তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই উঠেপড়ে লেগেছেন নেতা-কর্মীরা।

তবে দুই কেন্দ্রেই পদ্মের সঙ্গে কাঁটাও রয়েছে। গত পাঁচ বছরে বহু নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বেশ কয়েকবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও দুই প্রার্থীর কেউই তা মানতে চাননি। তাঁদের কথায়, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কিছু নেই। দল ইতিমধ্যেই প্রচারের কাজ শুরু করে দিয়েছে।’’

কালনা বিধানসভা কেন্দ্রে এ বার প্রার্থী হয়েছেন নিউটন মজুমদার। উল্লেখ্য, কালনা বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ কুণ্ডু শহরের যে সাত নম্বর ওয়ার্ডে দাঁড়িয়ে বাম প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন, সেই ওয়ার্ডেই বিজেপি প্রার্থী ছিলেন নিউটনবাবু। মন্তেশ্বরে প্রার্থী করা হয়েছে বিশ্বজিৎ পোদ্দারকে। মেমারি ২ ব্লকের সাতগাছিয়া এলাকার এই ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। ব্লক সভাপতিও ছিলেন বহু দিন। বর্তমানে দলের অন্যতম জেলা সম্পাদক তিনি। কাটোয়াতেও অভিজ্ঞ প্রার্থীই প্রাধান্য পেয়েছেন। প্রার্থী হয়েছেন এলাকায় দীর্ঘদিনের পরিচিত মুখ অনিল দত্ত।

কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোটে আবাক তুলনায় কমবয়েসী, আনকোরা মুখ প্রাধান্য পেয়েছে। কেতুগ্রামে প্রার্থী হয়েছেন বঙ্কুবিহারী ঘোষ এবং মঙ্গলকোটের প্রার্থী গোপাল চট্টোপাধ্যায়। দু’জনেরই বয়স চল্লিশের নীচে। দলের কর্মীদের দাবি, দু’জনেই এলাকায় লড়াকু হিসাবে পরিচিত।

প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরে বিজেপির বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ মণ্ডল বলেন, ‘‘এক দিকে যেমন অভিজ্ঞদের দল প্রার্থী করেছে। তেমনই স্বল্পবয়সী কয়েকজনেরও নাম রয়েছে। দু’তিন দিনের মধ্যেই চরম ভাবে ভোটের লড়াইয়ে দল নেমে পড়বে।’’ তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করেননি তিনি।

BJP election candiadte
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy