গাড়ি উঠলেই কাঁপছে সেতু। অনেক সময় মনে হয়, এই বুঝি ভেঙে গেল সেতু। এটাই চেনা ছবি কেতুগ্রামের চরখিতে কাশীরাম দাস সেতুর। যাত্রীদের অভিযোগ, সেতুর সংযোগস্থলগুলি ভেঙে গিয়েই বিপত্তি ঘটেছে। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার হয়নি সেতুটির।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার দশক আগে কাটোয়া ও কেতুগ্রামের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করতে অজয়ের উপরে এই সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল। সেতুটি লম্বায় ৩২৩ মিটার, চওড়ায় সাড়ে সাত মিটার। চালকদের দাবি, সেতু থেকে ফি দিন প্রায় ৬০ হাজার টাকা টোল আদায় করা হয়। টোল আদায়কারী সংস্থার কর্মীরা জানান, ফি দিন বোলপুর ও বহরমপুরগামী বহু বাস, প্রায় সাড়ে সাতশো নানা রকমের লরি, সাড়ে তিনশোরও বেশি ট্রাক্টর চলাচল করে সেতুটি দিয়ে। এ ছাড়া মোটরবাইক, সাইকেলের চলাচল তো রয়েইছে।
যাত্রীরা জানান, প্রায় পাঁচ বছর ধরে সেতু সংস্কার করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সেতুর সংযোগস্থলগুলি ভেঙে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা তোরন শেখ, শুভ্র আলমদের অভিযোগ, ‘‘বাস বা গাড়ি গেলেই সেতুটি কাঁপতে শুরু করে। খুব ধীরে গাড়ি চালাতেও ভয় লাগে।’’ বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, অতিরিক্ত বালি ও পাথরবোঝাই ট্রাকের যাতায়াতের ফলে সমস্যা আরও বাড়ছে।
যদিও পূর্ত দফতরের দাবি, ৬৮ কোটি ১ লাখ টাকা খরচে কাটোয়ার জাজিগ্রাম থেকে কেতুগ্রাম পর্যন্ত এবং কেতুগ্রাম থেকে ফুটিসাঁকো পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার করে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। দফতরের দাবি, ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুর সংস্কার এবং সেতুর ১৮টি সংযোগস্থল মেরামত করা হবে।
পূর্ত দফতরের কাটোয়া হাইওয়ে ডিভিশনের অ্যাসিট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণকান্ত নন্দী জানান, আপাতত ভাঙা সংযোগস্থলগুলিতে বালির বস্তা দেওয়া হয়েছে। পরে সংযোগস্থলগুলি স্থায়ী ভাবে সারানো হবে। সেই জন্য যাতে সেতুর উপরে দিয়ে যান চলাচল কিছু দিনের জন্য বন্ধ করা যায়, সে জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানান কৃষ্ণকান্তবাবু।