প্রতীকী ছবি।
প্রথমবার গণধর্ষণ, দ্বিতীয় বার গণধর্ষণে অভিযুক্ত এক যুবকের বিরুদ্ধে ফের পূর্বস্থলীর ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ হয়েছিল। দ্বিতীয় ঘটনার রায় আগেই দিয়েছিল আদালত। বৃহস্পতিবার গণধর্ষণের দায়েও দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে কালনা ফাস্ট ট্রাক আদালত। সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন বছরের জেলের নির্দেশ দিয়েছেন ফাস্ট ট্রাক আদালতের বিচারক বিবেকানন্দ সুর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের ১৯ অগস্ট জ্বালাহাটি গ্রামের বছর পনেরোর ওই কিশোরী বাউল গান শুনতে গিয়েছিলেন পাশের গ্রামে। ফেরার পথে একটি নির্জন জায়গায় গণধর্ষণের শিকার হয় সে। অভিযোগের আঙুল ওঠে পলাশ দাস, সুভাষ দাস এবং অশোক সরকারের বিরুদ্ধে। পূর্বস্থলী থানার পুলিশ অশোককে ফেরার দেখিয়ে বাকি দুই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। আদালত থেকে জামিন পেয়ে যায় সুভাষ এবং পলাশ। কিছুদন পরে ওই নাবালিকাকে ফের ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে পলাশের বিরুদ্ধে। পুলিশকে নাবালিকা জানায়, এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর রাতে বাড়ি থেকে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় পলাশ। এর পর মাঠের মধ্যে একটি সাবমার্সিবল পাম্পের ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে তাকে শাঁখা সিঁদুর পরিয়ে বারবার ধর্ষণ করা হয়। পরের দিন, পয়লা জানুয়ারি ভোরে তাকে বাড়ির সামনে ফেলে পালিয়ে যায় পলাশ।
পরে ২০১৩ সালের ৩ অক্টোবর দ্বিতীয় ঘটনায় পলাশকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় কালনার অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা আদালত। বুধবার গণধর্ষণের ঘটনায় সুভাষ এবং পলাশকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাস্ট ট্রাক আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারক রায় ঘোষণা করেন। এই মামলার সরকারি আইনজীবী অরুপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আগেই আদালত নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে পলাশকে সাজা দিয়েছে। ওর বিরুদ্ধে পরপর দু’বার ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ বার পলাশের জন্য আদালতে সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসির আবেদন রেখেছিলাম। যদিও বিচারক দু’জনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।’’ তাঁর দাবি, ধর্ষণের মতো ঘটনায় যত কঠোর সাজা হবে তত এই ধরনের ঘটনা ঘটানোর আগে অপরাধী ভাববে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy