প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের বাঁশড়া মোড় এলাকায়। এলাকাবাসীর দাবি, দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠেছে রাস্তার এই অংশ। দুর্ঘটনা আটকাতে অন্তত একটি ফুট ওভারব্রিজ জরুরি বলে দাবি তাঁদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে বাঁশড়া মোড়ের অদূরে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বাঁশড়া কোলিয়ারির কর্মী শ্রীকান্ত গড়াইয়ের। স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূলের আমরাসোতা অঞ্চল সভাপতি শুভজিৎ মণ্ডলের অভিযোগ, এক বছরের মধ্যে ১০ জনের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। এই মোড়ে সার্ভিস রোডের পাশে দোকানে ভাল ভিড় হয়। সার্ভিস রোড দখল করে যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকে। অনেক দূরে আন্ডারপাস থাকায়, বেশিরভাগ গাড়ি উল্টো রাস্তা ধরে রানিগঞ্জের দিকে যায়। তাতে দুর্ঘটনা আরও বাড়ছে বলে অভিযোগ।
২০২৪ সালের অক্টোবরে সার্ভিসর রোডে একটি লিটি দোকানের কাছে জাতীয় সড়কের ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দরজা খুলে নামার সময়ে উল্টো দিক থেকে আসা অন্য গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। তার আগে অগস্টে আমরাসোতা পঞ্চায়েতের এক কর্মীর মৃত্যু হয় দুর্ঘটনায়। ‘আমরাসোতা পঞ্জাবি মোড় ট্রাক অ্যান্ড ট্রিপার্স ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি দয়াশঙ্কর রায়ের দাবি, বাঁশড়া মোড়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ফুট ওভারব্রিজ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তা করা হয়নি। জাতীয় সড়কের এই অংশে ডিভাইডার নেই। তার ফলে, রাস্তা পারাপার করতে গিয়েও দুর্ঘটনা ঘটছে। উল্টো দিক থেকে যানবাহন যাতে আসতে না পারে, সে বিষয়ে প্রশাসনের কড়া হাতে মোকাবিলা করা উচিত বলে দাবি তাঁদের।
আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ রায় জানান, ডিভাইডার বা গার্ডওয়াল জরুরি। আমরাসোতা পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জয় হেমব্রম জানান, বাঁশড়া মোড় এলাকায় আন্ডারপাসের দাবিতে তাঁরা পঞ্চায়েতের তরফে একাধিক বার জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। রানিগঞ্জ ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা জানান, ফুট ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস তৈরির আবেদন জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিকের দাবি, সমীক্ষা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)