E-Paper

ঘড়িয়াল দেখতে ভিড়, স্নানের ঘাটে নামতে ভয়

কাটোয়া বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বেলা ১২টা নাগাদ কাশীগঞ্জ ঘাটের কাছে পূর্ণবয়স্ক ঘড়িয়াল বা মেছো কুমিরটিকে দেখা যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:২৭
ভাগীরথীতে নজরদারি কাটোয়ায়।

ভাগীরথীতে নজরদারি কাটোয়ায়। —নিজস্ব চিত্র।

ভাগীরথীতে ঘড়িয়ালের দেখা মিলেছিল শনিবার। বন দফতর নজরদারি চালায়। সচেতনতা প্রচার করা হয়। রবিবারও দিনভর ঘড়িয়ালের খোঁজে ভিড় দেখা গেল কাটোয়া শ্মশানের পিছনে ভাগীরথীর ঘাটে। ঘড়িয়ালের দেখা পেয়ে চলল ছবি, ভিডিয়ো তোলার হিড়িক। আবার ঘড়িয়ালের ভয়ে স্নানের ঘাটে নামেননি প্রায় কেউই।

কাটোয়া বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বেলা ১২টা নাগাদ কাশীগঞ্জ ঘাটের কাছে পূর্ণবয়স্ক ঘড়িয়াল বা মেছো কুমিরটিকে দেখা যায়। তবে এরা মানুষের কোনও ক্ষতি করে না। এমনকী মুখের চোয়াল তুলনায় নরম হওয়ায় শক্ত কিছু কামড়ে ধরে রাখতেও পারে না। বন দফতরের দাবি, অহেতুক ভয় না পেয়ে বা প্রাণীটিকে বিরক্ত না করে রক্ষা করাটাই কর্তব্য।

এ দিন সকাল থেকেই কাশীগঞ্জ ঘাট থেকে শুরু করে চর গোবিন্দপুর লাগোয়া প্রতিটি ঘাটে বন কর্মীরা নজরদারি চালান। গুজব না ছড়ানোর আবেদন করা হয়। ঘড়িয়ালটির কোনও ক্ষতি করলে বন বিভাগের বিশেষ আইন অনুসারে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানানো হয়। তবে সেটিকে দেখার ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দা অনুপ বিশ্বাস বলেন, “বছর দুয়েক আগে আমাদের এলাকায় কুমিরের দেখা মিলেছিল। তাই একটা আতঙ্ক আছে। অনেকেই ভয়ে গঙ্গায় স্নান করতে আসেননি। শবযাত্রীরাও কোনও রকমে স্নান করে ডাঙায় উঠে পড়েন।’’ সত্যনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় নামে কলেজ পাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘শনিবার দুপুর থেকেই কুমিরের গল্প শুনছি। ছবি দেখছি। রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় কুমির দেখতে এসেছি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Gharial Katwa

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy