কমেছে অপুষ্টিকর শিশুদের সংখ্যা। প্রতীকী চিত্র।
শিশুদের অপুষ্টি দূরীকরণে বেশ কিছুটা সাফল্য মিলেছে বলে দাবি পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের। করোনা পরবর্তী সময়ে শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার বেড়েছিল। প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলাশাসক ও বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকেরা অপুষ্ট শিশুদের পুষ্টিপূরণের দায়িত্ব নিয়েছেন। জেলাশাসক প্রিয়ঙ্কা সিংলা বলেন, ‘‘প্রতি মাসে সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশুদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা হচ্ছে। অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা অনেকটা কমানো গিয়েছে। জেলায় কোনও অপুষ্ট শিশু যাতে না থাকে, সে বিষয়ে প্রশাসন তৎপর।’’
জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট বলছে, ২০২১-র অগস্টে জেলায় ৯৩১টি অপুষ্ট শিশু ছিল। সেপ্টেম্বরে সে সংখ্যা কমে হয়েছিল ৮১৯। প্রশাসনের তরফে ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়। প্রত্যেক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের পুষ্টিযুক্ত খাবার দেওয়া হয়। পাশপাশি, সদ্যোজাত থেকে ছ’বছর বয়সের শিশুদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হয়। অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের (বয়সের তুলনায় ওজন বা বৃদ্ধি কম) চিহ্নিত করা হয়। পুষ্টিযুক্ত খাবার দিয়ে তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। একই সঙ্গে ওই সব শিশুর অভিভাবকেরও পুষ্টি সম্পর্কে সচেতনও করা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬৮৫৩টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে উপভোক্তাদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হচ্ছে। মাসে এক দিন করে স্বাস্থ্যপরীক্ষাও হচ্ছে। ২০২২-এর এপ্রিলে অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা কমে হয় ৪৫৯। ডিসেম্বরে দাঁড়ায় ৩৩১।
জামালপুর ব্লকে অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা সব থেকে বেশি (৪৯) ছিল বলে জানা গিয়েছে। তার পরেই রয়েছে কেতুগ্রাম ২ ব্লক। সেখানে অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা ৩২। রায়না ২ ব্লকে রয়েছে ২৮ জন অপুষ্ট শিশু। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিশেষ পুষ্টির প্রয়োজন রয়েছে, এমন ১৬৩টি শিশুকে চিহ্নিত করা হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো তাদের পুষ্টিযুক্ত খাবার দেওয়া হচ্ছে। গত নভেম্বর থেকে সরকারি আধিকারিকেরা তিন মাসের জন্য অপুষ্ট শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার দায়িত্ব নেন।
জেলাশাসক খণ্ডঘোষ এলাকার দু’টি শিশুর এবং জেলা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক রামশঙ্কর মণ্ডল শহরের কাঞ্চননগর এবং তিনকোনিয়া এলাকার দু’টি শিশুর জন্য পুষ্টিকর খাবার জোগানের দায়িত্ব নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy